AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

গাজীপুরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি,গাজীপুর
০১:৩০ পিএম, ১৯ নভেম্বর, ২০২৪
গাজীপুরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা

গাজীপুরে ডরিন ফ্যাশন লিমিটেড ও বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকেরা আজও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। অবরোধের কারণে ওই সড়কের উভয় দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও চালকেরা।

অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। সকালে কারখানার সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে চন্দ্রা-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় অবস্থান নেন তারা। এ সময় সড়ক অবরোধ করলে উভয় দিকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকরা বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের পর থেকে আমরা সঠিক সময়ে বেতন পাচ্ছি না। এখন পর্যন্ত অক্টোবরের বেতন পাইনি। বেতন না পেয়ে সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। বেতন না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলতে থাকবে। বেতন পেলেই আমরা কাজে ফিরব।’

অন্যদিকে বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকদের অসন্তোষের কারণে আশপাশের বেশ কয়েকটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ডরিন ফ্যাশন লিমিটেডের কারখানাও আছে। গতকাল সোমবার থেকে ডরিন ফ্যাশন কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করছেন। রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ করে ১১টার দিকে শ্রমিকেরা বাড়ি ফিরে যান। আজ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে আবার শ্রমিকেরা জিরানী এলাকায় সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করেন।

ডরিন ফ্যাশন কারখানার শ্রমিকরা বলেন, ‘১ নভেম্বর থেকে কর্তৃপক্ষ কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখে। গত রোববার খুলে দেয়া হলেও দুপুরের পর আবার ছুটি দিয়ে দেয়া হয়। গতকাল শ্রমিকেরা সকালে কাজে যোগদান করতে গিয়ে দেখেন, কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের কারখানায় কোনো সমস্যা হয়নি। তারপরও কেন কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে? তাই কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করছেন।’

শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বেক্সিমকো পার্কে স্টাফসহ ৪১ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। প্রতি মাসে তাদের বেতনের পরিমাণ হয় ৮০ থেকে ৮২ কোটি টাকা। প্রতিমাসের ৭ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে তাদের বেতন দেয়া হতো। কিন্তু মালিকদের কেউ না থাকায় এখন তারা বেতন ঠিকমতো পাচ্ছেন না। যার কারণে তারা গত বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন শুরু করে। বেক্সিমকো কারখানার এই সমস্যার কারণে গতকাল সংঘর্ষ হয় আরেও কয়েকটি কারখানা ও এলাকাবাসীর মধ্যে। উত্তেজিত হয়ে অ্যামাজন নামক একটি গেঞ্জি তৈরির কারখানায় আগুন দেয় শ্রমিকরা। ওই ঘটনার পর থেকে আশপাশের বেশ কিছু কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

কারখানার শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ জানায়, গাজীপুর মহানগরের সারোবো এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে বেশ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গত কয়েক মাস ধরে শ্রমিকরা প্রতি মাসেরই আন্দোলন করে বেতন আদায় করছে। চলতি মাসেও আশপাশের প্রায় সব কারখানার বেতন ভাতা পরিশোধ করা হলেও চলতি মাসের ১৬ তারিখ হয়ে গেলেও বেক্সিমকোর শ্রমিকরা বেতন পায়নি। যার কারণে বেতনের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন।

কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক দিনের মতো আজও শ্রমিকেরা সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। আশপাশের এলাকায় থানা-পুলিশ ও শিল্প পুলিশ মোতায়েন আছে।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!