মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজংউপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নানা সমস্যায় জর্জরিত। খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের প্রায় আড়াই লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র ভরসাস্থল হলেও এখানে রয়েছে চিকিৎসক সংকটসহ নানা সমস্যা। ৪ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে হাসপাতালটির চিকিৎসা সেবা। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে সেবা। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন থাকলেও তারা কোনো সেবা পাচ্ছেন না।
কর্তৃপক্ষ ১১ মাসেও চালু করতে পারেনি এক্স-রে মেশিনটি। এক্স-রে করার দরকার হলে রোগীদের পরামর্শ দেওয়া হয় বাহিরের প্রাইভেট ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যাওয়ার। চিকিৎসক কম থাকার কারণে রোগীরা চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও ডাক্তারের দেখা পাচ্ছেন না অনেকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসক কম থাকায় এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে। গত রবিবার সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, শত শত রোগীর ভিড় জমে আছে চিকিৎসকের দরজার সামনে। চিকিৎসক কম থাকার কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগীরা।
জানা যায়, যেখানে ১৩ জন চিকিৎসক থাকার কথা, সেখানে মাত্র ৪ জন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন। চারজন চলতি মাসে বদলি হয়ে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাবেন। ৫ জন চিকিৎসক রয়েছেন সংযুক্তিতে (প্রেষণে)।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডাক্তার ঠিক সময়ের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন না। তাদের বসার সময়ও ঠিক থাকে না। নির্ধারিত সময়ে না এলেও যাওয়ার সময় ঠিক সময় মতোই চলে যান। এতে হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে।
লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, এটি ৫০ শয্যার হাসপাতাল। পুরুষ ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি ২০, মহিলা ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি ৩০, সিজারের রোগী মোট ৪ জন ও ডেঙ্গুরোগীও রয়েছে।
এ বিষয়ে লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সিনথিয়া তাসমিন বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার স্বল্পতায় ৩-৪ জন ডাক্তার রোস্টার অনুযায়ী ডিউটি করেন। এতে করে খুবই সমস্যা হচ্ছে। পরিচ্ছন্নতা কর্মী অর্থাৎ চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আমাদের হাসপাতালে নেই। অ্যাম্বুলেন্সে রয়েছে তেলের সংকট। তেলের পাম্পগুলোর সহযোগিতা না পাওয়ার কারণে রোগীদের সাময়িক ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। আমি গত মাসের ১৪ তারিখে এই উপজেলায় যোগ দিয়েছি। সমস্যাগুলো আইডেন্টিফাই করে সমাধান করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :