AB Bank
ঢাকা বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী
ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন

রাজনগরে হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অভিযোগ


রাজনগরে হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অভিযোগ

মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগে পানিশাইল নিজগাঁও গ্রামে আলোচিত আব্দুল মালিক হত্যাকান্ডে মামলার বিচার প্রক্রিয়া ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে একটি মহল অপকৌশল করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

বুধবার (২০ নভেম্বর) বেলা ৩টায় রাজনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নিহত আব্দুল মালিকের স্ত্রী সাবরিনা আক্তার লোহমহর্ষক ও হৃদয়বিদারক হত্যাকান্ডের বর্ণনা তুলে ধরে বলেন, বিগত ২০২১ সালের ১৭নভেম্বর সন্ধ্যায় আইনজীবী ও ক্রীড়াবিদ এডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টুদের পৈত্রিক সম্পত্তি ‘‘বশির রাবেয়া কটেজ’’ নামীয় বাড়িসহ নিজগাঁওয়ে তাদের সকল সম্পতির দায়িত্বপ্রাপ্ত কেয়ারটেকার আব্দুল মালিক-কে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। 

এ ঘটনায় এডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু বাদী হয়ে রাজনগর থানায় মামলা নং- ৯/১৯২ এবং জি আর নং- ১৯২/২১ দায়ের করেন। উক্ত হত্যাকান্ডে জড়িত ৩জন ও পরবর্তীতে মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে হত্যার সাথে সংশ্লিষ্ট ভাড়াটিয়া খুনী সন্ধেহে আরো ৩জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রায় ৪ মাস পূর্বে নুরুল ইসলাম কলা মিয়াসহ মামলার অন্যান্য আসামীরা আড়াই বছর হাজতবাস করে জামিনে বের হন। এর পর থেকেই মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যেতে পারছেন না। 

তিনি আরো জানান- আব্দুল মালিক সম্পত্তির কেয়ারটেকারের দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে, তাদের পূর্বের কেয়ারটেকার নিজগাওঁ গ্রামের নুরুল ইসলাম কলা মিয়া প্রায় সময় হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করতেন এবং কয়েকবার শারীরিক আঘাতও করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে জীবিত থাকাকালীন আব্দুল মালিক বাদী হয়ে নুরুল ইসলাম কলা মিয়া গংদের বিরুদ্ধে রাজনগর থানায় (মামলা নং-৩০, তারিখ ৩১/৮/২০১৮ইং) দায়ের করেন।  এ মামলায় নুরুল ইসলাম কলা মিয়া, তার ছেলে আমিন ও শামীমকে গ্রেফতার করে সাড়ে চার মাস জেল হাজত কাটেন। মামলা থেকে জামিনে বেরিয়ে আসামীরা আরও বেপরোয়া, প্রতিহিংসা- প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে ওঠেন এবং আব্দুল মালিককে পরিকল্পিতভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করেন। সম্প্রতি- এডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টুর রাজনৈতিক পরিচয়ের সূত্র ধরে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার নিমিত্তে প্রতিপক্ষের লোকজন “তথা কথিত আয়না ঘর” এবং “টর্চার সেল” বলে সামাজিক যোগাযোগ ও বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার করে গুজব রটাচ্ছেন। ‘‘বশির রাবেয়া কটেজ’’ নির্মিত ঘরে বাংলাদেশ সরকারের বিস্ফোরক আইন ও তদাধীন প্রণীত গ্যাস সিলিন্ডার বিধিমালা ১৯৯১ এর বিধানাবলী এবং শর্তাবলী অনুযায়ী অ্যামোনিয়া গ্যাসপূর্ণ সিলিন্ডার মজুদ রাখার জন্য তাদের নির্মিত সেমিপাকা কয়েকটি মজুদাগার এই ভূমিতে রয়েছে। মূলত জানালা বিহীন এই ঘরগুলো অ্যামোনিয়া গ্যাসপূর্ণ সিলিন্ডার রাখার ঘর। আব্দুল মালিকের হত্যা মামলার বাদী এডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টুকে হেনস্তা করে মামলাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করে মামলাকে দূর্বল করা। স্বামী আব্দুল মালিক হত্যার দ্রুত বিচার ও শিশু সন্তান-কে নিয়ে নিরাপদে বাঁচার আকুতি জানান। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সালেহা বেগম ছায়া (মাতা), রফিক আলী(মামা), কমরু মিয়া, (শশুর) আব্দুল হাকিম (সহোদর ভাই), লেবু মিয়া,(চাচাতো ভাই) লুবনা বেগম  আফসারা আঞ্জুম (মেয়ে) প্রমুখ।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!