সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে পৌর এলাকার নলুয়া বটতলার মুদি দোকানী রইচ উদ্দিনের নিখোঁজের ১৫ দিন পর প্রতিবেশি শফিকুলের বাড়ির পাশের খাল থেকে গলিত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যার সাথে জরিত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
মাত্র ১৬ হাজার টাকা চুরি করার জন্যই মুদি দোকানী রইচ উদ্দিনকে জবাই করে হত্যা করেছে বলে জানিয়ে বৃহস্পতিবার(২১ নভেম্বর) শাহজাদপুর থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(শাহজাদপুর সার্কেল) মোঃ কামরুজ্জামান। এর আগে নিহত রইচের ছেলে শাহজাদপুর থানায় একটি নিখোঁজের সাধারণ ডায়রী করেন।
নিহত মুদি দোকানী রইচ উদ্দিন(৬০) উপজেলার কাংলাকান্দা গ্রামের মৃত ওমর আলী ফকিরের ছেলে ও পৌর সদরের নলুয়াতে দোকানের পাশেই থাকতেন। অপরদিকে গ্রেপ্তারকৃত আসামী মোঃ মামুন (২৮) পৌর সদরের নলুয়া গ্রামের আজিজ আলী মন্ডল ছেলে ও মোঃ জয়নাল শেখ (৫০) উপজেলার জুগ্নীদহ পশ্চিমপাড়ার মৃত রানু শেখের ছেলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(শাহজাদপুর সার্কেল) মোঃ কামরুজ্জামান লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, হত্যাকারী মামুন ও জয়নাল মাঝে মাঝে নিহতের দোকানে বসে আড্ডা দিত। মামুন ও জয়নাল এর কাছে টাকা না থাকায় তারা মুদি দোকানীর টাকা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। এবং সেই পরিকল্পনা মোতাবেক আসামী মামুন একটি চাকু কিনে গত ৩ নভেম্বর রাতে তারা রইস কে অনুসরন করে। এরপর রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে আসামী মামুন এবং জয়নাল রইসের ভাড়া বাড়িতে গিয়ে রইসকে ডাক দিয়ে বের করে আসামী জয়নাল রইসকে চেপে ধরে মাটিতে শোয়ায় এসময় আসামী মামুন রইস কে জবাই করে হত্যা করে এবং রইসের ঘরের তোষকের নিচে থাকা ১৬ হাজার টাকা আসামীদ্বয় চুরি করে ভাগবাটয়ারা করে নেয়। এরপর আসামীদ্বয় রইসের লাশ একটি বস্তার মধ্যে ডুকায়ে শফিকুলের ডোবায় ফেলে দেয়। তিনি আরও জানান, শাহজাদপুর থানা পুলিশের একটি চৌকশ টিম অভিযান পরিচালনা করে মামুন ও জয়নালকে গ্রেফতার করে এবং পরবর্তীতে তাদের দেয়া তথ্য মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু, রইসের ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মামুন ও জয়নায় মুদি দোকানী রইচকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলেও সংবাদ সন্মেলন জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :