ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়েছেন নবী (৬৭) নামের মধ্য বয়সি এক প্রতিবন্দী ব্যক্তি। সে যশোরের চৌগাছার সাঞ্জাডাঙ্গা গ্রামের মৃত হিমচানের ছেলে। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুর রেলস্টেশনের আউটারে। বর্তমানে সে যশোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নবীর নাতি ছেলে ইয়াসিন আলী বলেন, আমার বাড়ি কোটচাঁদপুরের সলেমানপুরে। হাসপাতাল থেকে ফোন আমাকে দূর্ঘটনার কথা বলেন। তিনি বলেন, আমার নানার বাড়ি যশোরের চৌগাছার সুখ পুকুরিয়ার সাঞ্জাডাঙ্গা গ্রামে। তাঁর নানার এক চোখ অন্ধ বলে জানান নাতিন ইয়াসিন। ঘটনাস্থল থেকে প্রতিবন্দী ভাতার কার্ড উদ্ধার করেছেন স্থানীয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সোহেল হোসেন জানান, শনিবার সকাল ১০ টা বাজে। এ সময় খুলনা থেকে চিত্রা ট্রেন ছেড়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। এ সময় কোটচাঁদপুর রেলস্টেশনের আউটারে বসেছিলেন নবী (৬৭)। ট্রেন যাবার পর ওইস্থানে মানুষের কোলাহল দেখা যায়। এরপর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সে সময় জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাঁকে দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে তাঁর স্বজনরা তাকে যশোর হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে নবী ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তিনি এক চোখে দেখতে পারে না বলে জানিয়েছেন তাঁর স্বজনরা। এতে করে তিনি প্রতিবন্দী ভাতাও পান বলে জানা গেছে।
কোটচাঁদপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার রুহুল আমিন বলেন,চিত্রা ট্রেনের ধাক্কায় একজন ব্যক্তি আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেছেন। তবে তাঁর নাম ঠিকানা জানতে পারি নাই। এ ছাড়া বর্তমানে কি অবস্থা আছে তাও তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন।
কোটচাঁদপুর থানার ডিউটিরত উপপরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলাম বলেন, রেলের ঘটনা তো রেল পুলিশ দেখে দেখেন। তবে এ ধরনের ঘটনা নিয়ে এখন ও পর্যন্ত কেউ থানায় আসেনি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :