বৃষ্টির পানি, বাসা-বাড়ির পানি ও মাছ বাজারের পানি জমে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার নতুন বাজার এলাকার ১৫-২০টি পরিবার চরম দূর্ভোগের মধ্যে বসবাস করছে। ডোবা ও নিচু এলাকায় পানি জমে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারনে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এবং বদ্ধ পানি বিষাক্ত হয়ে উঠছে। পঁচা পানিতে মশা, মাছি ব্যাপকহারে বংশবৃদ্ধি করছে ।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত ২-৩ মাস আগের বৃষ্টির পানি এখনও জলাবদ্ধ হয়ে রয়েছে।
বাজার এলাকার বাসিন্দা মোছাঃ ছামছুন নাহার বেগম এবিষয়ে বলেন, জমি কিনে যখন বাড়ি করেছিলাম তখন উঁচু জায়গা ছিল। এখানে কখনই পানি জমতো না। পাশেই পানি নামার পথ বন্ধ করে দেওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ইউনুস আলী বলেন, চার শতক জায়গা কিনে তিনি বাড়ি করেছিলেন। বাড়ি করার পর তিনি লক্ষ করেছেন চতুরদিকের বাসা বাড়ির পানি, মাছ বাজারের পানি, বৃষ্টির পানি গড়িয়ে এসে এখানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। ময়লা আবর্জনা পঁচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এখানে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। একসময় পার্শ¦বর্তী ওয়াপদা খালের নালা দিয়ে পানি বের হয়ে যেত কিন্তু জগদীশ নামে একব্যক্তি নামা দখল করে বাড়ি ও গেট নির্মান করায় পানি নামার নালা বন্ধ হয়ে গেছে। যেকারণে পানি আর বের হতে পারছে না বলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে, এ দূর্গন্ধযুক্ত পানি নিষ্কাশন হলে তাঁরা বেঁচে যেতেন।
একই এলাকার বাসিন্দা ফারুক আহম্মেদ বলেন,তিনি নতুন বাজারের পাশে বাড়ি করে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। এখানে কোনদিনই পানি জমা হতো না এবং কারো কোন সমস্যাও হতো না। ইদানিং এই ডোবায় পানি জমে পানি বিষাক্ত হয়ে পড়েছে। পঁচা পানির দূর্গন্ধে বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়েছে। আশেপাশের টিউবওয়েল থেকে দূর্গন্ধযুক্ত পানি বের হচ্ছে। বাথরুমগুলো ব্যবহারের কোন উপায় নাই। মশা,মাছির উপদ্রবে সবাই অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। এলাকায় পানিবাহিত রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সবমিলে এই এলাকার লোকজন চরম দূর্ভোগের মধ্যে দিন অতিবাহিত করছে। এমতাবস্থায় এই এলাকার বসবাসকারী লোকজন সুষ্টু সমাধান ও প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাখী ব্যানার্জী বলেন, এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে একটা লিখিত আবেদন পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :