সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার ৩নং চামরদানী ইউনিয়ন পরিষদ অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে। দাপ্তরিক কাজের দায়িত্বে চেয়ারম্যান না থাকায়, নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত ভুক্তভোগীরা। চেয়ারম্যান এর দায়িত্বে কেউ না থাকায় দাপ্তরিক কাজ অকার্যকর হয়ে পড়তে দেখা গেছে সরজমিনে।
জানা যায়, গত ৮ অক্টোবর থেকে চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকার কারণে ভুক্তভোগী জনগণ দাপ্তরিক কাজের সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। এলাকার মানুষ পরিষদে এসে, পাচ্ছে না নাগরিক সনদ, মৃত্যু সনদ,উত্তরসূরী সনদ,জন্মনিবন্ধন সনদসহ বিভিন্ন সেবা সমূহ। এতে ভুক্তভোগী জন মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই, সেবা না পেয়ে হতাশায় ভুগছেন এলাকার ভুক্তভোগী মানুষেরা।
এমতাবস্থায় পরিষদের দাপ্তরিক সেবার কার্যকর ব্যবস্থা অতি দ্রুত সচল না হলে, দিন দিন মানুষের ভোগান্তি উঠবে চরমে। এলাকায় অভিযোগ উঠেছে যে, সরকারি বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ও জমি বেচাকেনা সহ অফিস আদালতের গেঁড়া কলে পরতে হচ্ছে অনেক পরিবার। তাই দ্রুত পরিষদের পেনেল গঠন করে, জনগণের দুর্ভোগ লাগবের লক্ষ্যে কতৃপক্ষের নজরদারি খুব জরুরি।
এবিষয়ে ইউপি সদস্য নূরুল ইসলাম নূরু বলেন, চেয়ারম্যান আলমগীর খসরু দির্ঘদিন অনুপস্থিত রয়েছেন, অথচ প্রশাসন কোনো ব্যবস্হা নিচ্ছেন না।
সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ উয়াসিল আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগের ধূসররা ষড়যন্ত্র করে চামরদানী ইউনিয়ন পরিষদ অকার্যকর এবং অচল করে রেখেছে। জনগণের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে,সরকারের কতৃপক্ষ জরুরি ভিত্তিতে একজন সংস্কার পন্থি চেয়ারম্যান নির্বাচন করা জরুরি ।
মধ্যনগর উপজেলার ইউএনও উজ্জ্বল রায় বলেন, আমি এবিষয়ে ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি খুব তারাতাড়ি সমাধান করবো।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :