ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা সদরের সদরপুর মডেল সরকারি বিদ্যালয়ের তৃতীয়তলা থেকে পড়ে মোঃ দেলোয়ার হোসেন(৪২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই শ্রমিকের সহকর্মী ফারুক হোসেন তাকে উদ্ধার করে সদরপুর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার সৌরভ চক্রবর্তী তাকে মৃত ঘোষনা করেন। ফারুকের মৃত্যুর খবর শুনে পরিবারের লোকজন আর্তনাদ শুরু করে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল মামুন ও উপজেলা প্রকৌশলী আঃ মমিন হাসপাতালে যান। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম হাওলাদার। এ সময় সদরপুর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক মোঃ মামুন মরদেহের প্রাথমিক তথ্য বিবরনী শেষ করেন।
নিহতের সহকর্মী মোঃ ফারুক হোসেন বলেন, সদরপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিইডিপি-৩ প্রকল্প এর একটি ভবনের তৃতীয় তলার ছাদের চিলেকোঠা ভাঙ্গার কাজ করছিলেন। চিলেকোঠার পাশের একটি দেয়াল ভাঙার এক পর্যায়ে উপর থেকে বিদ্যালয়ের নিচের পাকা ফ্লোরে পড়ে যায়। ওই সময় তাকে সদরপুর হাসপাতালে নিয়ে আসি।
নিহত দোলোয়ার হোসেন বরগুনা জেলার তালতুলী গ্রামের সানু হাওলাদারের পুত্র। নিহতের এক স্ত্রী ও দুই পুত্র সন্তান মারুফ (১৮) ও আব্দুল্লাহ (১০) রয়েছে।
জানা যায়, ওই ভবনের সম্প্রসারণের কাজ টেন্ডারে পান ফরিদপুর জেলার ভাই ভাই কনস্ট্রাকশন। তার নাম ঠিকাদার আবুল বাশার। মূল ঠিকাদারের নিকট থেকে চিলেকোঠা ও দেয়াল ভাঙা কাজের চুক্তি দেওয়া হয় ৩৫হাজার টাকা। চুক্তির কাজ করেন মোঃ হুমায়ন জমাদার ও খোকন হাওলাদার। গত এক সপ্তাহ ধরে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ভাঙ্গার কাজ করা হলেও ওই খানে সদরপুর উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগের কোনো কর্মকর্তা তদারকিতে ছিলেন না বলে জানান কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা। ওই কনাস্ট্রাকশন কাজ দেখাশুনার দায়িত্ব ছিলেন সদরপুর উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সার্ভেয়ার মোঃ সিরাজ খান।
এ ব্যাপারে সদরপুর উপজেলা প্রকৌশলী আঃ মমিন বলেন, এটি একটা দুর্ঘটনা। এখানে আমাদের করার কি আছে। এ ব্যাপারে নিহতের পুত্র মারুফ জানান, আমরা ঢাকা থেকে রওয়ানা দিয়েছি। এসে বিস্তারিত কথা বললো।
এ ব্যাপারে সদরপুর থানার ওসি মোতালেব হোসেন বলেন, আমি সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :