মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের পদ্মায় ৪৪ কেজি ওজনের একটি নিষিদ্ধ বাঘাইর মাছ জেলের জালে ধরা পড়ে এবং পরে মাছটি ১১০০ টাকা কেজি দরে ৪৮ হাজার টাকায় শিবালয় উপজেলার আরিচা আড়তে বিক্রি হয়। রোববার দিবাগত ভোর রাত সাড়ে তিনটার দিকে হরিরামপুর উপজেলার হরিনাঘাট থেকে আজিমনগর এর মাঝামাঝি পদ্মা নদীতে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার আব্দুল মমিন মাঝির জালে মাছটি ধরা পরে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে বিক্রয়ের জন্য মাছটি আরিচা আড়তে নিয়ে যান মমিন। এবং সেখানে হাঁকডাকে ৪৮ হাজার টাকা বিক্রি করা হয়। বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী এই মাছ শিকার ও বিক্রি নিষিদ্ধ থাকলেও তা মানছেন না তারা। বরং মাছ ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে অবাধে দাম হাকিয়ে বিক্রি করেন এই মাছ।
জেলে আব্দুল মমিন বলেন, আমিসহ জামালপুরের আদর আলী, সাজল ও আমির হামজা এই চারজন জেলে হরিরামপুর এরিয়ার পদ্মায় জাল ফেলি। ভোর রাত সাড়ে তিনটার দিকে হরিরামপুর উপজেলার হড়িনা ঘাট থেকে আজিমনগর এরিয়ার পদ্মা নদী থেকে আমার জালে বাঘাইর মাছটি ধরা পড়ে। মাছটি ভোরে আরিচা আড়তে নিয়ে আসি। পরে ১১০০ টাকা দরে বিক্রি করি।
বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর আওতায় বাঘা আইড় মাছ শিকার ও বিক্রি নিষিদ্ধ। কেউ তা অমান্য করলে এক বছর সশ্রম কারাদন্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডও হতে পারে। দেশের কোন প্রান্তে যেকোন আইড় বিক্রি হতে না পারে সেজন্য স্থানীয় প্রশাসন আগে থেকেই উদ্যোগ নিয়ে থাকেন। কিন্তু মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে এরকম কোন উদ্যোগের দেখা মেলেনি।
হরিরামপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নুরুল ইকরাম বলেন, হরিরামপুর পদ্মায় বড় মাছ ধরা বা বিক্রির বিষয়ে আমি অবগত নই।
হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহরিয়ার রহমান বলেন, মানুষ না বুঝে এটি ধরে এবং খায়। এটি অনেকদিন ধরে চলতে থাকায় একটি ট্রেন্ড চালু হয়ে গেছে। আমাদের পক্ষ থেকে মাছ বাজারে মাইকিং ও প্রচার কাজ করে মানুষকে সচেতন করা হবে। আশাকরি এভাবে মানুষ সচেতন করা হলে এক দুই বছরের মধ্যে এটি আর শিকার ও বিক্রি হবে না।
মানিকগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাইফুর রাহমান বলেন, আমি আমার কর্মকর্তাকে বলে দিচ্ছি এরপর থেকে প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে এই মাছ ধরা এবং বিক্রয় বন্ধে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :