পিরোজপুরে মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেয়েছেন ৩২ জন। কোনো প্রকার হয়রানি, সুপারিশ এবং ঘুষ ছাড়া সোনার হরিণ খ্যাত এই চাকরি পেয়ে খুশিতে আত্মহারা এসব তরুণ-তরুণী। বুধবার সন্ধ্যায় পিরোজপুর পুলিশ লাইনস ড্রিল শেডে পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ আবু নাসের ট্রেইনি পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন।
এতে চূড়ান্তভাবে ৩২ জনের নাম ঘোষণা করেন পুলিশ সুপার। এর মধ্যে ৩ জন নারী, ১ জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রয়েছেন। অনুষ্ঠানে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে ও মিষ্টিমুখ করান নিয়োগ কমিটির সদস্যরা। পিরোজপুর পৌর শহরের শেখপাড়া এলাকার শেখ হিশাম বলেন, চাকরির আশায় প্রথমে অনলাইনে আবেদন করেছি। এরপর মাঠে এসে যাবতীয় পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। শারীরিক, লিখিত ও মৌখিক সবগুলো পরীক্ষায় ভালোভাবে উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি পেয়েছি। কারও সঙ্গে কোনো যোগাযোগ বা তবদির করিনি। আমার কাছে এ চাকরিটা এখনও স্বপ্নের মতো লাগছে।
শেখ হিশামের বাবা মো. হাফিজ আহমদ বলেন, মাত্র ১২০ টাকায় আবেদন করে আমার ছেলের চাকরি হয়েছে। কোনো প্রকার ঘুষ-সুপারিশ কিছুই লাগেনি। আমার খুব খুশি লাগছে। পিরোজপুরের পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ আবু নাসের বলেন, নিয়োগপ্রাপ্তরা শতভাগ স্বচ্ছতা, দুর্নীতিমুক্ত ও ঘুষমুক্ত পরিবেশে উত্তীর্ণ হয়েছেন। সব মিলিয়ে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার সঙ্গে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে হয়েছে।
এখানে কোনো প্রকার অবৈধ লেনদেন বা স্বজনপ্রীতি হয়নি। নিয়োগ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বরিশাল রেঞ্জ কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাছুদুল আলম, বরিশালের গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোসা. শারমিন সুলতানা রাখী। এ সময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- পিরোজপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শেখ মুস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. মুকিত হাসান খাঁন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :