রাজশাহীতে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পুকুরের মাছ, বাঁশ, লিচু ও আমগাছ লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে নগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন উপশহর এলাকার মো. আব্দুর রাজ্জাক সরদারের ছেলে সরদার মো. জুবায়ের হাসান (৪৩) সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সরদার মো. জুবায়ের হাসান। বক্তব্যে তিনি বলেন, বড় বনগ্রাম এলাকার মৃত ভাদু মন্ডলের ছেলে মো. মকছেদ আলী (৫২), মো. হারান (৪৮), মো. জমশেদ (৫২), জমশেদের ছেলে মো. লিটন (৩৫), গাজলু (৪০), মো. গফুর (৩৬), মকবুল হোসেনের ছেলে গাফফার (৩৭), মো. শামীম (৩৪), মকছেদের ছেলে মো. শাওন (৩২) এই লুটপাট এবং হুমকি প্রদান করছে।
শাহমখদুম থানাধীন বড়বনগ্রাম শেখপাড়ায় আমার বাবা মো. আব্দুর রাজ্জাক ও আমার নামে খতিয়ান নং-৩৫৭ দাগ নং-৪২৭৬,৪৪০৩,৪৪০৪ (পুকুর, বাগান) ৩ বিঘা জমি আছে। ওই জমিতে পুকুর এবং আম বাগান ও বাঁশের ঝাড় আছে। ইতো পূর্বে এরা আমার ভোগদখলীয় জমিতে থাকা পুকুরের মাছ ধরে এবং আম ও লিচুর ৫ টি গাছ কেটে নিয়ে যায়। এমনকি বাঁশের ঝাড় থেকে ৩০ টি বাঁশ কেটে নিয়ে যায়। যেগুলোর মূল্য এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার পরিমাণ। গত মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় বাঁশ কাটার বিষয়ে অভিযুক্ত হারানের কাছে জমশেদ এবং লিটনসহ অনেকে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। গত পহেলা ডিসেম্বর রোববার মো. আলমের মাধমে জানতে পারি যে, সকাল সাড়ে ৮টায় তাঁরা আমার ভোগদখলীয় জমি থেকে ১০ টি বাঁশ কেটে নিয়ে গিয়েছে। পরের দিন সোমবার সকাল ৭ টা ২৫ মিনিটে পুকুর থেকে প্রায় ২৫ মণ মাছ ধরে নিয়ে গেছে। মাছ ধরার পর তাঁরা পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে অবশিষ্ট মাছ মেরে ফেলে। এই মাছেগুলোর বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে। আমাদের জমিতে গেলে আমাদেরকেই তাঁরা হাসুয়া দিয়ে কেটে ফেলার হুমকি প্রদান করছে।
তিনি আরও বলেন, এই বিষয়টি সম্পর্কে শাহমখদুম থানায় একটা অভিযোগ করেছি। আমরা এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে শাহ মখদুম থানার অফিসার ইনজার্জ মাহবুব আলম বলেন, অভিযোগ সম্পর্কে এখনও আমার জানা নেই। তবে, অভিযোগ হলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :