শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ গবেষণাগারের পক্ষ থেকে ৫০জন কৃষকের ফসলি জমির মাটি পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করে তাদের মাঝে সার-সুপারিশ কার্ড প্রদান করা হয়েছে। মৃত্তিকা নমুনা পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ শেষে রবিবার (৮ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা কৃষি অফিস চত্ত্বরে চাষীদের মাঝে এই সার সুপারিশ কার্ড প্রদান করা হয়। সার সুপারিশ কার্ড পেয়ে উপস্থিত কৃষকরা অনেক উপকৃত হয়েছেন বলে জানান কৃষকরা।
কৃষি মন্ত্রণাললয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউট কর্তৃক সারাদেশে ৫৬টি উপজেলায় ভ্রাম্যামাণ মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগারের মাধ্যমে মৃত্তিকা নমুনা সংগ্রহ এবং রাসায়নিক বিশ্লেষণ পূর্বক উপজেলা পর্যায়ে সার-সুপারিশ কার্ড বিতরণ করা হচ্ছে। এ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় এবং "মাটি পরীক্ষা করে সার প্রয়োগ করুন, অধিক ফসল ঘরে তুলুন" এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এমএসটিএল ব্রম্মপুত্র জামালপুর, শেরপুর এবং টাঙ্গাইল জেলার ৬টি উপজেলায় এই কর্মসূচী পালন করছে।
উক্ত কার্ড বিতরণ কর্মসূচিতে কৃষিবিদ মো. মাহবুবুল আলমের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ও মূখ্য আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন, আঞ্চলিক গবেষণার, এমআরডিআই, জামালপুরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হাবিবুর রহমান।
এতে সভাপতিত্ব করেন, আঞ্চলিক কার্যালয় এমআরডিআই জামালপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আ.খ.ম মুর্শেদুর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সাবরিনা আফরিন, এমআরডিআই জামালপুরের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. রাফেজা বেগম। এসময় টিম ব্রম্মপুত্রের সদস্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. লুৎফুল হাসান, মো. রবিউল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ভ্রাম্যামাণ মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগার (ব্রহ্মপুত্র) এর মাধ্যমে রবি ও খরিপ মৌসুমে কৃষকদের ফসলি জমির মাটি মাত্র ২৫ টাকার বিনিময়ে সরেজমিনে পরীক্ষা করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার সাবরিনা আফরিন জানান, কোন কৃষক তাদের চাষাবাদের জমির মাটি পরীক্ষার জন্যে জামালপুর অফিসে গিয়ে অথবা উপজেলা কৃষি অফিস এর মাধ্যমেও পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন। এতে কৃষকরা তাদের চাষাবাদের জমিতে সঠিক মাত্রায় সার প্রয়োগ করে সুফল পাবেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :