বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য (মৌলভীবাজার সদর- রাজনগর) আসনের সাবেক এমপি এম নাসের রহমান বলেছেন- ভারতের অনলাইনে পত্রপত্রিকায় নিউজ বের হয়েছে। বাংলাদেশে হিন্দুদের মারা হচ্ছে। কিন্তু রাজনগরের কুশিয়ারা নদীর পাড় থেকে থেকে দক্ষিণে কামারচাক পর্যন্ত হাজার হাজার হিন্দু পরিবার বসবাস করছে, কোথাওকি কোন হিন্দু পরিবারের ভাইদের বাড়িতে হামলা হয়েছে? কোন মন্দিরে কি হামলা বা আক্রমন হয়েছে ? এই যেসমস্থ অপপ্রচার ভারতের মিডিয়াগুলো করছে এদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতাকর্মীসহ দেশের মানুষদের রুখে দাঁডাতে হবে। দলের সর্বস্থরের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর জবাব দিতে হবে। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজনগর সরকারী কলেজ মাঠে উপজেলা বিএনপির আয়োজেনে কর্মী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের হিন্দু ভাইয়েরা যেভাবে শান্তিতে বসবাস করছে। ভালো আছে অথচ এই ভারতীয় মিডিয়াগুলোর অপপ্রচারের বিরুদ্ধে হিন্দু ভাইদের এগিয়ে আসতে হবে। কারণ আমরা মুসলমানরা এর জবাব দিলেও তারা বিশ্বাস করবে না। কিন্তু হিন্দু ভাইয়েরা যদি বলে আমাদের বাড়িতে বা মন্দিরে কোন আক্রমন বা হামলা হয়নি-এগুলো সব মিথ্যাচার। এসমস্থ মিথ্যাচার আমাদের বিরুদ্ধে আমাদের দেশের বিরুদ্ধে ভারতের মিডিয়াগুলো করছে তাহলে অন্যরা বিশ্বাস করবে। এসব মিথ্যাচার পতিত হাসিনা ও তার দোসরা দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট ফয়জুল করিম ময়ূনের সভাপতিত্বে আয়োজিত কর্মী সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কিমটির সদস্য আবুল কালাম বেলালের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রবাসী বিএনপি নেতা জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফয়ছল আহমদ চৌধুরী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এডভোকেট আবেদ রাজা, মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, এমএ মুকিত, মোহম্মদ হেলু মিয়া, আশিক মোর্শারফ, ফখরুল ইসলাম, বকসি মিছবাউর রহমান, মতিন বক্স, মোহাম্মদ আব্দুর রহিম রিপন, মনোয়ার আহমেদ রহমান, আনিছুজ্জামান বায়েছ, স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান, আশরাফুরজ্জামান খান নাহাজ, দূরুদ আহমদ, যুক্তরাজ্য স্বেচ্চাসেবক দলের নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া প্রমুখ।
তিনি বলেন- বিএনপির যে নেতারা জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলে সাত মাইয়া (সাত মাসের) এমপির সাথে যোগ দিয়েছে তাদের থেকে আমাদের সাবধান থাকতে হবে। কারণ, বিএনপির কোনো নেতা সাত মাইয়া এমপির লগে বসে জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু কইবো আবার সে বিএনপি করবে এটা মেনে নেয়া যায় না এবং কোন পর্যায়ের কমিটিতে রাখা যাবেনা। এলাকার উন্নয়ন করতে এমপি হওয়া লাগেনা বলে এম নাসের রহমান বলেন, বিগত আওয়ামীলীগ সরকারে সময়ে রাজনগরের তেম কোন উন্নয়ন করা হয়নি। এম সাইফুর রহমান ও আমিই রাজনগরের উন্নয়ন করেছি। রাজনগর-বালাগঞ্জ সড়ক ভেঙে গেছে। কিন্তু এই সড়কের কাজের প্রস্থাব পাঠানো হলেও তা বাতিল করা হয়। আমি যোগাযোগ উপদেষ্টার সাথে কথা বলে রাজনগর-বালাগঞ্জ সড়ক ও মৌলভীবাজার-ফেঞ্চুগঞ্জসহ তিনটি সড়কের প্রজেক্ট পাস করিয়েছি।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :