আজ ১৪ ডিসেম্বর ৭১ সালের এ দিনে দোহাজারী দীর্ঘ ৯ মাস পাক হানাদার বাহিনীর সাথে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর দক্ষিণ চট্টগ্রামের পাক হানাদার বাহিনীর শক্ত ঘাটি দোহাজারী তৎকালীন সি এন্ড বি অফিসে বর্তমান দোহাজারী সড়ক বিভাগে পাক হানাদারদের ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। সেই ক্যাম্প থেকে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে অপারেশন চালানো হতো ওই ক্যাম্পে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে স্বাধীনতাকামী লোকজন কে ধরে এনে নির্মম নির্যাতন চালানো হতো। কত লোক কে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার কোন হিসাব নেই
আজ ১৩ ডিসেম্বর দুপুরে পাক হানাদার বাহিনী মিত্র ও মুক্তিবাহিনী যৌথ আক্রমণে টিকতে না পেরে পাক বাহিনী চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।এরা পালিয়ে যাবার সময় চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের দোহাজারী শঙ্খ নদীর উপর গার্ডার ব্রিজটি এবং পটিয়া ইন্দপুল ব্রিজটি ডিনামাই দিয়ে উড়িয়ে দেন।
১৫৪ নং মুক্তিবাহিনী গ্রুপ( আবু তাহের খান গ্রুপ) তৎকালীন পটিয়া থানার শোভনদন্ডী গ্রামের মহাজন বাড়ী হতে খবর পেয়ে রাতেই দোহাজারীতে আসার জন্য সঙ্গীয় মুক্তিযোদ্ধারা হেটে পরদিন সকালে দোহাজারীতে পৌছেন। তখন ১৫৪ নং মুক্তিবাহিনী গ্রুপের ডেপুটি কমান্ডার (টু আই সি হিসেবে) সঙ্গে থাকা লাল সবুজের মাঝে মানচিত্র খন্ডিত বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে করে দোহাজারী পাক হানাদার মুক্ত ঘোষণা করা হয়।
তারা ওই সময়ে দোহাজারী রেলওয়ে ওয়াটিং রুমে মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্প স্থাপন করেন।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :