দীর্ঘ সাড়ে আট বছর ধরে নিয়মিত অ্যাম্বুলেন্স চালক নেই ৫০ শয্যাবিশিষ্ট মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা হাসপাতালে। রাজস্ব খাতে নিয়োগপ্রাপ্ত চালক না থাকায় জরুরি স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। বর্তমানে চালক না থাকায় অ্যাম্বুলেন্সটি কাজে আসছে না রোগীদের। ফলে সাধারণ মানুষের ভরসা এখন বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স, সিএনজি ও অটোরিক্সা। অতিরিক্ত কয়েকগুণ ভাড়া দিয়ে জেলা সদর ও ঢাকার হাসপাতালে যেতে হচ্ছে তাদের। এতে দুর্ভোগ ও ভোগান্তি পোহাচ্ছেন জরুরি চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৬ সালের জুন মাস থেকে হাসপাতালে রাজস্ব খাতের অ্যাম্বুলেন্স চালক নেই। মাঝে মাঝে অন্যান্য উপজেলা হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালকদের রোস্টার ভিত্তিতে এনে সেবা দেওয়া হতো। সর্বশেষ হাসপাতালের নৌ-অ্যাম্বুলেন্সের চালককে দিয়ে নয় মাস অ্যাম্বুলেন্স সেবা দেওয়া হয়েছে। তিনিও এক মাস আগে অব্যাহতি নেওয়ায় বর্তমানে বন্ধ রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স সেবা।
হাসপাতালে সেবা নিতে আসা কয়েকজন রোগীর স্বজনরা জানান, সরকারি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও চালক না থাকায় বিকল্প ব্যবস্থায় কয়েকগুণ বেশি টাকা ভাড়া দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রোগীদের জেলা সদর বা ঢাকার হাসপাতালে নিতে হয়। দুর্ভোগ কমাতে তাই দ্রæত একজন নিয়মিত অ্যাম্বুলেন্স চালকের দাবি জানান তারা।
উপজেলার আন্ধারমানিক গ্রামের শাহিন বলেন, আমাদের উপজেলা হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও ড্রাইভার না থাকায় ভোগান্তির শেষ নেই। প্রথমে আমাদের উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলেও রাতের বেলায় একজন রোগীকে হ্যালো বাইকে করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিতে হয়েছে।
হাসপাতালে সেবা নিতে আসা মো. আক্কাস আলী বলেন, অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার না থাকায় উপজেলাবাসীর ভোগান্তির শেষ নেই। কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে সিএনজি, অটোরিক্সায় করে রোগীকে জেলা সদরে নিয়ে যেতে হয়। একজন ড্রাইভার দেয়া হলে উপজেলাবাসী সেবা পাবে এবং ভোগান্তি দূর হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কাজী একেএম রাসেল বলেন, প্রায় সাড়ে আট বছর ধরে হাসপাতালে রাজস্ব খাতের অ্যাম্বুলেন্স চালক নেই। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে একাধিকবার চাহিদা জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে অন্যান্য উপজেলা হাসপাতালের চালকদের দিয়ে রোস্টার ভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্স সেবা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য উপজেলায় পদ শুন্য হয়ে যাওয়ায় কিছুদিন সার্ভিস বন্ধ ছিল। সর্বশেষ গত ৯ মাস হাসপাতালের নৌ-অ্যাম্বুলেন্স চালককে দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স সেবা দেয়া হয়েছে। এক মাস আগে তিনিও অব্যাহতি নেওয়ায় বর্তমানে সার্ভিস বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি জানিয়ে আমরা এ পর্যন্ত অধিদপ্তরে দুইটি চিঠি পাঠিয়েছি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :