রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর প্রথমে শেখ হাসিনার নাম বাদ দিয়ে প্রকল্পের নাম পুনঃনির্ধারণ করে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি’ করা হয়। এবার নামের পর শিবচর থেকে স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মাদারীপুর জেলার শিবচরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে শিবচরের সর্বস্তরের জনগনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
এছাড়াও নির্ধারিত স্থানটির স্থানান্তরের এর প্রতিবাদে শিবচরের সাধারণ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানা ভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন না হলে আগামীতে মহাসড়ক অবরোধসহ বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেন মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেয়া ছাত্র-জনতা। তারা বলেন, শিবচরের তরুণ প্রজন্মরা তাদের জীবন দিয়ে হলেও এই নির্মাণাধীন প্রকল্পকে অন্য কোথাও স্থানান্তর হতে দেব না।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, কর্মসংস্থানের অপার সম্ভাবনাকে সামনে রেখে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরে শিবচর উপজেলায় কুতুবপুর ইউনিয়নের এক্সপ্রেসওয়ের সংলগ্নে ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি এন্ড হাইটেক পার্ক ২০২১ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। পরবর্তীতে ফ্যাসিবাদ সরকারের পতনের পর কোন এক অদৃশ্য কারণে প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে বেকারত্ব হ্রাস ও আর্থ সামাজিক সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে শিবচরবাসীর এই হাইটেক পার্ক খুবই প্রয়োজন।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন হাজী শরীয়তউল্লাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি-এর সপ্তম পুরুষ হযরত হাফেজ মাওলানা হানজালা, শিবচর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক তুরাগ খান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী বি.এম আবু বকর সিদ্দিকসহ ছাত্র-জনতা। এতে সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে নেয়া এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা রয়েছে ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে। সাইবার সিকিউরিটি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সসহ প্রযুক্তির নানাখাতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি পদ্মা সেতুর পাশে মাদারীপুরের শিবচরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে `ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি` গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। বিশেষায়িত এই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি। অধিগ্রহণ করা ৭০ একর জমি নির্ধারণ করা হয়েছিল। যেখানে বালু ফেলে ভরাটের কাজ শুরু হয়েছিল। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট নানা কাজে জুলাই ২০২৪ সাল পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৪৮ কোটি টাকা।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :