খুলনা-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন ‘জাহানাবাদ এক্সপ্রেস’ প্রথম যাত্রা শুরু করেছে। মঙ্গলবার ভোর ৬টায় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা এ ট্রেনটি মাত্র ৩ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছেছে। নতুন এই সেবা যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে, কারণ এটি সময় ও খরচ কমানোর পাশাপাশি যাতায়াতকে আরও সহজ করেছে।
খুলনা রেলওয়ে স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত মাস্টার আশিক আহমেদ জানিয়েছেন, প্রথম দিনে ৫৫৩ জন যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি খুলনা থেকে ঢাকায় যাত্রা করে। ট্রেনটির আসন সংখ্যা ৭৬৮ হলেও প্রথম দিনে প্রায় ৬৯% আসন পূর্ণ হয়েছে।
নতুন রুটটি খুলনা, নওয়াপাড়া, সিঙ্গিয়া, নড়াইল, লোহাগড়া, কাশিয়ানী হয়ে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ঢাকায় পৌঁছে। এই রুটে ভ্রমণ করতে শোভন চেয়ার ভাড়া ৪৪৫ টাকা, স্নিগ্ধা ৭৪০ টাকা, এসি সিট ৮৮৫ টাকা, আর এসি বার্থ ১,৩৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
যাত্রীরা ট্রেনটির দ্রুতগতি ও সুবিধাসমূহের প্রশংসা করেছেন। প্রথম যাত্রী আরিফুল ইসলাম বলেন, "পূর্বে ৮ ঘণ্টা সময় লাগত। এখন সময় সাশ্রয় হচ্ছে, আর ভাড়াও তুলনামূলক কম। তবে শীতকালে ভোর ৬টার সময়সূচি পরিবর্তন করলে ভালো হতো।"
নড়াইলের বাসিন্দা সোহেল হোসেন জানান, "শীতকালে ভোরে যাত্রা শুরু করতে অসুবিধা হয়। স্টেশনে পৌঁছাতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। ট্রেনের সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিলে বা ট্রেনের সংখ্যা বাড়ালে সুবিধা হতো।"
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন জানিয়েছেন, আরও নতুন ট্রেন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী ৬ মাসে এই রুটে আরও ট্রেন যুক্ত হবে।
নতুন এই ট্রেন খুলনাবাসীর জন্য আশীর্বাদ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যাত্রী শহীদ হোসেন বলেন, "পূর্বে ট্রেনের যাত্রা ছিল দীর্ঘ। এখন দ্রুত সময়ের মধ্যে ঢাকা পৌঁছানো সম্ভব। এটা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য এক বড় উপহার।"
সপ্তাহে ছয় দিন চলাচল করবে ‘জাহানাবাদ এক্সপ্রেস’। ট্রেনটি সোমবার ছাড়া প্রতিদিন খুলনা ও ঢাকা থেকে যাত্রা করবে। এই সেবার মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের যাতায়াত আরও সহজ ও দ্রুত হয়েছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :