বুধবার বিকেলে মুন্সিগঞ্জে গুলিতে আহত আয়েশার পাশে দাড়ালো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মুন্সিগঞ্জ।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে প্রতিনিধি হিসেবে রাজ, মেহেদি, জিহাদ, সিয়াম উপস্থিত থেকে এক মাসের বাজার ও নগদ অর্থ প্রদান করেন।
জানা যায়, ৪ আগস্ট মুন্সীগঞ্জ শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে মানিকপুর এলাকায় বা পায়ে গুলিবিদ্ধ হন ভিক্ষুক আয়েশা বেগম (৭৬)। বর্তমানে তার দিন কাটছে দুঃখ দুর্দশায়।
উপজেলা প্রশাসন ছাড়া আর কেউই এগিয়ে আসেনি তার পাশে। অন্যদিকে, পায়ের ব্যাথা পুরোপুরি না কমায় বন্ধ রয়েছে জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন ভিক্ষা বৃত্তি। ফলে গুলিবিদ্ধ ওই নারী নিজের সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। অর্থ সংকট নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন দ্বারে দ্বারে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে পায়ে ব্যাথা নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবে ছুটে আসেন আয়েশা বেগম। এসময় তিনি বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসন থেকে ১০ হাজার টাকা দিছিলো ওই টাকা দিয়া তেল, চাইল আর ডাইল খাইয়া শেষ। আর কেউ কোন সহযোগিতা দেয় নাই। এহন টাকা পয়সা শেষ। পায়ের ব্যাথায় ভিক্ষাও করতে যাইতে পারি না।`
তিনি বলেন, `শুনেছি সরকার চারিদিক থিকা সাহায্য -সহযোগিতা করতাছে। আমারে একটু ব্যবস্থা কইরা দেন।`
তিনি প্রথমে পায়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি আচ করতে না পারলেও ৩ মাস পর এক্সরে পরীক্ষায় বাম পায়ে গুলি চিহ্নিত হয়। তবে অসহায় এই নারীর গুলি বের করতে সহযোগিতার আকুতি জানালেও এগিয়ে আসেনি জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। পরবর্তীতে জেলা শহরের মানিকপুর এলাকার সিটি হেলথ কেয়ার এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক এম এ মালেক মুরাদ ২৩ নভেম্বর ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিদ্ধ হওয়া গুলিটি বের করে দেন। বর্তমানে ওই চিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন আয়েশা বেগম। এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেননি তিনি।
আয়েশা বেগমের স্বামী ও সন্তান কেউ-ই নেই। বাড়ি চাঁদপুরে। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে স্বামী লতিফ সরদারের মৃত্যুর পর প্রায় এক যুগ আগে মুন্সীগঞ্জ শহরে চলে আসেন তিনি। বেছে নেন ভিক্ষাবৃত্তি। স্বামী-সন্তান ছাড়া বয়সের ভারে ন্যুজ্ব আয়েশা বেগমের উপার্জনের একমাত্র ক্ষেত্র ভিক্ষাবৃত্তি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :