"এসো মিলি প্রাণের টানে, মিলবো হেসে ঐক্যতানে" এ শ্লোগানে নরসিংদীর পলাশ উপজেলা এসএসসি ১৯৯৮ ব্যাচের বর্ণাঢ্য আয়োজনে বন্ধু মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী সারাদেশের বন্ধুদের অংশগ্রহণে পলাশের ঘোড়াশাল পৌর অডিটোরিয়ামে এ মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
সকালের শুরুতেই পলাশ, নরসিংদী ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসএসসি ১৯৯৮ ব্যাচের বন্ধুরা পৌর অডিটোরিয়ামে আসা শুরু করে। পরে শত শত বন্ধুদের পদাচারণায় এক উৎসবমুখর পরিবেশে রুপ নেয় পৌর অডিটোরিয়াম মাঠ ও শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়। একে অপরের সাথে এর আগে বহুবার ৯৮ ব্যাচের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা হলেও এবার নতুন করে যুক্ত হয়েছে ব্যাচের অনেক নতুন বন্ধু।
পলাশে এবারই প্রথম ব্যাচের বড় মিলন মেলায় বন্ধুদের পেয়ে আনন্দ উচ্ছাসে মেতে উঠে সবাই। জড়িয়ে আলিঙ্গন করে অনেকেই। সহপাঠীদের কাছে পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়ে। পুরনো দিনের স্মৃতি মনে করে আড্ডায় মিলিত হন, যার যার মতো করে সবার সঙ্গে স্মৃতি চারণ করেন। খোঁজ নেন পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের।
শুধু তাই নয় স্কুল-কলেজ জীবনের হারিয়ে যাওয়া বাঁধ ভাঙা বন্ধুত্বের এক একটা পরিচ্ছেদকে আরও একবার ঝালিয়ে নেয়ার সুযোগ মেলে এই আয়োজনে। দীর্ঘ ২৬ বছরে এসএসসি-৯৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিভিন্নজন নানা পেশায় চলে গেছেন। এদের মধ্যে অনেকে শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী, ব্যাংকার, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা, রাজনীবিদ, পুলিশ, সামরিক ও বেসামরিক অফিসার। কেউ বা আবার প্রবাসী। কিন্তু পরিচয় সবার যেন একটা, সেটা হলো তারা স্কুল বন্ধু।
বগুড়ার বন্ধু আলিম বলেন, `স্কুল বন্ধুদের কখনো মন থেকে ভুলা যায় না, তবে জীবন সংগ্রামের ব্যস্ততার কারণে হয়তো নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখা হয়ে উঠে না। কিন্তু দিনশেষে এরাই গেঁথে থাকে অন্তরে, বাস্তবে তেমন একটা দেখা না হলেও স্মৃতি আজীবন রয়ে যায় অমলিন।`
আয়োজকদের মধ্যে মাঈন, শামিম, কাইয়ুম, মাসুম, শাহিন, নুর কাউসার, জাকারিয়া রফিক বলেন, সারাদেশের বন্ধুদের কাছে পেয়ে অনেক ভাল লাগছে। পলাশ উপজেলা ৯৮ ব্যাচ এর বন্ধুদের পক্ষ থেকে সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। বন্ধুদের অবস্থান থেকে একে অপরের বিপদে ও আনন্দে পাশে থাকবো আমরা।
রাতে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে লটারির পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে পলাশ উপজেলা ১৯৯৮ ব্যাচের এই মিলন মেলার সফল সমাপ্তি হয়।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :