শেরপুরে পদ ও পদোন্নতিরসহ অন্যানো দাবিতে প্রকাশ্যে আন্দোলনে নামলেন ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা। আজ বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় শেরপুর সরকারি কলেজ গেইটের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
জানা যায়, সরকারের উপসচিব পদে কোটাপদ্ধতি বাতিল, নিজ নিজ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ নীতিনির্ধারণী পদে দায়িত্ব দেওয়া এবং সব ক্যাডার কর্মকর্তাদের সমান অধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে গত ১লা সেপ্টেম্বর ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত হয় ‘আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ’।
এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ডাক, প্রাণিসম্পদ, মৎস্য, পরিসংখ্যান, রেলওয়ে, কৃষি, সমবায়সহ বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাখাওয়াত হোসেন, শ্রীবরদি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আলিফ উল্লাহ, শেরপুর সরকারি কলেজের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ আজম রেজাউল করিম খান, জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুর রউফ, প্রভাষক শিব সংকর কারুয়া, ডা: আহসানুল হাবিব প্রমূখ।
মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা গাড়ি-সুবিধা পান। গাড়ি সংরক্ষণে মাসে ৫০ হাজার টাকা করে পান। অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা এসব সুবিধা পান না। কর্মকর্তাদের সুযোগ-সুবিধা সমান করতে হবে। তাই বৈষম্য না করে পরীক্ষার মাধ্যেমে প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ দিতে হবে।
২৫ ক্যাডারের মধ্যে কর্মকর্তার সংখ্যার দিক দিয়ে বড় ক্যাডার শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডার। এই দুই ক্যাডারে কর্মকর্তা রয়েছেন যথাক্রমে প্রায় ১৬ হাজার ও ৩০ হাজারের বেশি। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন তাঁদের ক্যাডারভুক্ত না রাখার যে সুপারিশের কথা বলা হয়েছি সেটি আমরা প্রত্যাখান করছি। এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সব পর্যায়ের নীতিনির্ধারণী পদে স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদায়ন এবং উপসচিব পদে উন্মুক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দিতে হবে। পাশাপাশি দাবি না মানলে আগামী ৩১ ডিসেম্বর বৃহত্তর কর্মসূচীর ডাক দেওয়া হবে ৷
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :