নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের কাহেন্দী গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক ১১টার সময় কাহেন্দী গ্রামের বাসিন্দা জাকিরের বাড়িতে ডাকাতি করতে আসে, বিল্লাল (৪৫) এবং তার সহযোগী লাভলী (২৫)সহ ১০ /১২ জনের একটি ডাকাতদল। এলাকাবাসী ডাকাতের উপস্থিতি টেরপেয়ে জাকিরের বাড়ি ঘেরাও করে। এই সময় ডাকাত দল পালানোর সময় ডাকাত দলের সদস্য বিল্লালকে কাহেন্দী ব্রিজের দক্ষিণ পাশে ওয়াসার লাইনের কাছাকাছি ধরে ফেলে এলাকাবাসী। সেখানে বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে বলে জানা গেছে। নিহত বিল্লাল হোসেন আড়াইহাজার উপজেলার নারান্দি এলাকার মজিদ মিয়ার ছেলে।
অন্যদিকে, সহযোগী লাভলী জীবন বাঁচাতে জাকিরের বাড়ির পাশের পুকুরে ঝাঁপ দেয়। পরে তাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে আড়াইহাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রূপগঞ্জ—আড়াইহাজার জোনের সার্কেল অফিসার মেহেদী ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নিহত ডাকাত বিল্লালের মরদেহ পোস্টমর্টামের জন্য নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের প্রেরণ করা হয়েছে।
আহত ডাকাত লাভলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাংবাদিকদের জানান, আমি ডাকাত না। আমি খারাপ কাজ করি। মানুষ দেখে ভয়ে আমি দৌড়ে পালানোর চেস্টা করি। পরে গ্রামের মানুষ আমাকে অনেক মারধর করেছে।
আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, নিহত বিল্লালের বিরুদ্ধে খুন ডাকাতিসহ ৮টি মামলা রয়েছে। তবে আটক নারী ডাকাত কিনা তা নিয়ে তদন্ত চলছে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :