বাগেরহাটের মোল্লাহাটে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মার্চ ফর ইউনিটি, খুলনা বিভাগীয় শাখার ছাত্রদের সাথে পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ১১:৪০ ঘটিকায় খুলনা মহানগর থেকে শিক্ষার্থীদের বহনকারী ২৫টি বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। পথিমধ্যে গাড়ি বহর মোল্লাহাটের চাঁদেরহাট এলাকায় পৌঁছালে ইমাদ পরিবহন তাদের গাড়ি ওভারটেক করার সময় চাপ দেয়। এতে ছাত্রদের গাড়ি রাস্তার পাশে নেমে যেতে বাধ্য হয়।
ছাত্রদের বহনকারী গাড়ি মাদ্রাসাঘাট এলাকায় এসে উক্ত পরিবহন শ্রমিকদের সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে স্থানীয় কালু ফরাজি, হাসান ফরাজী, হাদী ফারাজী, নান্না ফারাজী সহ কিছু ছেলেরা তাদের মারপিট করে।
এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহস্রাধীক ছাত্র হাতে লাঠি নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে স্থানীয় দোকানপাট ভাঙচুর করে, দুইটি মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং মাদ্রাসা ঘাট সংলগ্ন কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালায়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছে দীর্ঘ দুই ঘন্টা পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন খুলনার সমন্বয়ক জহুরুল তানভীর বলেন, খুলনা থেকে শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের গাড়ি বহর ঢাকায় যাচ্ছিল। পথে সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর হামলা করে। উক্ত হামলায় অনেকে আহত হয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের দোসররা এই আক্রমণ করেছে বলে জানান তিনি।
আরেক সমন্বয়ক মিনহাজুল আবেদীন সম্পদ বলেন, পরিকল্পিতভাবে এই হামলা করা হয়েছে। তবে কোনো বাঁধা আমাদের লক্ষ্য থেকে সরাতে পারবে না। আমাদের ভাইদের রক্ত ঝরেছে। এর বিচার অতিদ্রুত করতে হবে, জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আর না হলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের মাধ্যমে জড়িতদের খুঁজে বের করবে বলে হুশিয়ারী দেন তিনি।
ইমাদ কাউন্টারের পরিচালক কালু ফরাজী জানায়, ইমাদ পরিবহনের অভিযোগ শুনে ছাত্রদের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা আমার উপর আক্রমণ করে। আহতদের খুলনা ও ফকিরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ছাত্ররা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ঢাকা অভিমুখে রওনা হয়ে গেছে। বর্তমানে সেনাবাহিনী ও পুলিশের উপস্থিতিতে এলাকার পরিবেশ একেবারেই স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :