নওগাঁর পত্নীতলায় জমি দখল নিয়ে সুরেস চন্দ্র বর্মন বনাম বিনোদ প্রল্লাদের বিরোধের জেরে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর ৫জন আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী, থানা পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর ২০২৪) সকালে শিতলমাঠে সীমান্তবর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের প্রথমে পত্নীতলা এবং সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে আহতদের মধ্যে পাঁচ জনের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাদেরকে রামেকে প্রেরণ করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকগণ।
আহতরা হলেন- তৃতীয় পক্ষ মৃত মুনসুর রহমানের ছেলে নুরু (৫০) মৃত মেসের আলীর ছেলে কালু (৫২) এবং উভয় পক্ষের মৃত রমনাথের ছেলে হরিপদ বর্মন (৩৮), সিবেন বর্মনের ছেলে দুলাল চন্দ্র বর্মন (৪০), দিমোলময়ের বর্মনের ছেলে নিপেন বর্মন (৩৮)।
আহত ভুপেন (সুরেশ) জানান, আমরা দীর্ঘদিন যাবত আমাদের ভোগ দখলীয় সম্পত্তি আমরা চাষাবাদ করে আসছি। নতুন করে বিনোদ প্রল্লাদ গংরা তৃতীয় পক্ষকে ঠিক করে আমাদের চাষাবাদকৃত গমে ঘাস মারা বালাইনাশক স্প্রে করে। আমরা বাঁধা দিলে আমাদের ওপর দেশীয় অস্ত্র হাসুয়া, লাঠি, ডেগার ও রামদা দিয়ে অতর্কিত হামলা করে।
পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ্ মোঃ এনায়েতুর রহমান উপরোক্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জমিজমা শিতল মাঠে মারামারির ঘটনা শুনে পুলিশ পাঠিয়ে সকলকে শান্ত করা হয়েছে। এখন পর্যম্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :