শিক্ষাবর্ষ শুরুর প্রথম দিনে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার মাধ্যমিক স্তরের কোনো শিক্ষার্থীই নতুন বই পায়নি৷ সরবরাহ না থাকায় শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে
দেওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে শিক্ষা অফিস। অপরদিকে, প্রাক্-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নতুন বই পেলেও চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা কোনো বই পায়নি।
উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার প্রাথমিকের শিশু শ্রেণি থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা নতুন বই পেয়েছে। তবে, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই এখনও আসেনি। আগে বই না আসায় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা কোনো বই পায়নি৷ বুধবার (১ জানুয়ারি) বিকেল তিনটার দিকে দশম শ্রেণির তিনটি বিষয়ের বই এসেছে।
রামকৃষ্ণপুর মোহাম্মদ আব্দুল জলিল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আনিমুল হাসান বলেন, আজ বই পাইনি৷ কবে পাবো তাও জানিনা।
ঝিটকা আনন্দ মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবির খান বলেন, বছরের প্রথম দিনে প্রতিবছর বই পেলেও এবছর কোনো বই পাইনি৷ বছরের প্রথম দিনে বই পেলে এক ধরনের ভালোলাগা কাজ করে।
দক্ষিণ চাঁদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সাখাওয়াত হোসেন মৃধা বলেন, বিকেল তিনটার দিকে দশম শ্রেণির তিনটি বিষয়ের বই এসেছে। বই নিতে শিক্ষা অফিসে এসেছি। আগামীকাল বইগুলো শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার কামরুল ইসলাম বলেন, সরবরাহ না থাকায় আজ হরিরামপুরে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের বই বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। বুধবার বিকেল তিনটার দিকে আমরা দশম শ্রেণির তিনটি বিষয়ের ১৯৪০টি করে বই পেয়েছি। সেগুলো প্রতিটি বিদ্যালয়ে দেওয়া হচ্ছে। আগামীকাল শিক্ষার্থীরা এই বইগুলো হাতে পাবে। পরবর্তীতে বই পাওয়া গেলে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে।
অপরদিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কাজী সাইফুল ইসলাম বলেন, উপজেলার ৯১টি বিদ্যালয়ের প্রাক্-প্রাথমিক, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়েছে। বই না পাওয়ায় চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দেওয়া সম্ভব হয়নি। সবাই বই না পাওয়ায় এবার বই উৎসব করা হয়নি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :