জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনের সময় খুলনায় দায়িত্ব পালন করা ম্যাজিস্ট্রেটদের তালিকা চেয়ে দাপ্তরিক চিঠি দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। জানা গেছে, গত সপ্তাহে এ চিঠি খুলনা জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০ জুলাই কারফিউ জারির পর বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে দায়িত্ব পালনকারী ম্যাজিস্ট্রেটদের কার্যক্রম ও নির্দেশনার বিস্তারিত বিবরণ চাওয়া হয়েছে।
৫ জুন শুরু হওয়া কোটা বিরোধী আন্দোলন একসময় গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়। প্রথম দিকে খুলনা জেলা প্রশাসন এ আন্দোলনকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। কিন্তু হাইকোর্টের রায়ের পর ছাত্রসমাজ রাজপথে নামলে পরিস্থিতি জটিল হতে থাকে।
১৯ জুলাই কারফিউ জারির পর পুলিশের নির্যাতন, যুবলীগ-ছাত্রলীগের হুমকি ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া পরিস্থিতি নিয়ে ট্রাইব্যুনাল বিশেষভাবে তথ্য চেয়েছে।
জুলাই-আগস্টে খুলনার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন- খন্দকার ইয়াসির আরেফীন। কারফিউ জারির দিনই তিনি সাত দফা নির্দেশনা দেন, যার মধ্যে জনগণের নিরাপত্তা ও ৯ উপজেলায় ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, সেই সময় দায়িত্বে থাকা ম্যাজিস্ট্রেটদের মধ্যে ছিলেন- নাভিদ সারওয়ার, রুবায়েত আহমেদ, মো. মুনতাসির হাসান খান, মো. আনোয়ার সাদাতসহ ১২ জন। তাদের অনেকে বর্তমানে বদলি হয়েছেন।
সূত্র জানায়, কারফিউর দুদিন আগে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মন্ত্রণালয়কে জানায়, খুলনায় তেমন বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে পুলিশি তৎপরতা বাড়ানোর অনুরোধ করা হয়। ৪ আগস্ট বিজিবি মোতায়েনের দাবি জানানো হয়। একই দিনে সেনা মোতায়েনের জন্যও আবেদন করা হয়।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিঠি আমরা পেয়েছি। এ বিষয়টি চূড়ান্ত করার কাজ চলছে।”
পর্যবেক্ষক মহল বলছে এই উদ্যোগ অতীতের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রম বিশ্লেষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :