AB Bank
ঢাকা রবিবার, ০৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সবজিতে স্বস্তি ফিরলেও কৃষকের মাথায় হাত


Ekushey Sangbad
সায়েম খান, জেলা প্রতিনিধি মানিকগঞ্জ
০৬:১৫ পিএম, ২ জানুয়ারি, ২০২৫
সবজিতে স্বস্তি ফিরলেও কৃষকের মাথায় হাত

মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার কাঁচাবাজারগুলোতে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এতে কমেছে সবজির দাম। বাজারের সবখানেই সবজিতে ভরপুর। ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বস্তি মিললেও দিশাহারা কৃষক। সার তেল কীটনাশক বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির পরে ফসল উৎপাদনে খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। সবজিতে স্বস্তি ফিরলেও দাম না পেয়ে কৃষকের মাথায় হাত। উৎপাদন খরচও উঠছে না চাষিদের।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, আলু ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁয়াজ ৫০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে।

এছাড়াও ধনে পাতার আঁটি ১০ টাকা, পেঁয়াজের কলি ১০ টাকা আটি বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি পিস ফুলকপি ১০ থেকে ২০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা এবং প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৭০ টাকা। বাজারে লালশাকের আঁটি ৫ টাকা, মুলাশাক ৫ টাকা, ডাঁটা শাক ৫ টাকা, কলমি শাক ৫ টাকা, পালংশাক ৫ ও কালাই শাক ৫ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলার ঝিটকা বাজারে বাজার করতে আসা জনি মোল্লা বলেন, সবজির দাম কমায় জনজীবনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। যে আলু কয়দিন আগেও ৮০ টাকায় কিনতাম, সেই আলু এখন ৫০ টাকায় পাচ্ছি।

রিকশাচালক ছকেল বলেন, সারা দিনে যা উপার্জন করি, তা চাল-ডাল কিনতেই শেষ হয়ে যায়। এখন সবজির দাম কম হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি বোধ করছি।

বাজারে ফুলকপি বিক্রি করতে আসা এক কৃষক জানান, আমাদের উৎপাদিত শাকসবজি আমরা ঝিটকা বাজারে বিক্রি করি। কিন্তু বর্তমানে যেভাবে সবজির দাম কমে গেছে তাতে আমাদের পরিবহন খরচ নিজের পকেট থেকেই দিতে হবে। সরকার একটা ব্যবস্থা না নিলে আমরা নিঃস্ব হয়ে যাব। তেল সার কীটনাশক বীজের আকাশ ছোয়া দামের কারণে সবজি উৎপাদনে খরচ অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি হয়েছে। এমতাবস্থায় বাজার পরিস্থিতি এমন থাকলে পথে বসতে হবে কৃষকদের।

রুবেল নামের এক খুচরা বিক্রেতা জানান, আগে এক কেজি পণ্য বিক্রি করলে ১০ থেকে ১৩ টাকা লাভ হতো। সেখানে দাম কমায় সবজির প্রতি কেজিতে লাভ হয় দুই থেকে পাঁচ টাকা। এমন অবস্থায় ক্রেতারাও যাতে সহনীয় দামে পণ্য কিনতে পারেন এবং কৃষক ও খুচরা বিক্রেতারাও স্বাভাবিক দাম রেখে তাদের পণ্য কেনাবেচা করতে পারেন এমনটাই প্রত্যাশা আমাদের।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. তৌহিদুজ্জামান খান বলেন, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সবজির ব্যাপক ফলন হয়েছে। ফলে বর্তমানে বাজারে  সবজির সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় দাম একটু কম। তবে সামনে রমজানকে কেন্দ্র করে অনেক কৃষক সবজি চাষাবাদ করছে। আশা করা যাচ্ছে তখন কৃষক ভাইয়েরা আরো ভালো দাম পাবে।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!