নওগাঁ জেলার মান্দায় এক অসহায় পরিবারের জমি জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভালাইন ইউনিয়নের বৈদ্যপুর গ্রামে। এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজনৈতিক ব্যাক্তি বর্গের শরনাপন্ন হয়েও কোন ফল পাচ্ছেন পরিবারটি। এছাড়াও প্রতিপক্ষের লোকজনের অব্যাহত হুমকির কারণে জীবনের নিরাপত্ত্বাহীনতায় ভূগছেন ভূক্তভোগী পরিবারের লোকজন। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন তারা।
ভূক্তভোগী পলাশ চন্দ্র বলেন, গত ১৯৯৬ সালের ৩৭২৫ দাদির দানপত্র দলিল মূলে আমরা দুই ভাই বৈদ্যপুর মৌজার বেশকয়েকটি দাগে প্রায় দুইবিঘা জমি প্রাপ্ত হই। এমতাবস্থায় বাবার মৃত্যুর পর পারিবারিক সমস্যার কারণে মা শ্রীমতি সাবেত্রী রানী আমাদের অভিভাবক হিসেবে একই গ্রামের প্রতিপক্ষের ব্রজেন্দ্রনাথ মন্ডলের নিকট বৈদ্যপুর মৌজার ৫১ নং খতিয়ানের ৪৩৬ দাগে সোয়া ৮ শতাংশ সম্পত্তি বিক্রয় করেন।অথচ, তিনি সোয়া ৮ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করে ১৩.২ শতাংশ সম্পত্তি জোর পূর্বকভাবে দখল করে আছেন। আমরা বিষয়টি জানতে পেরে জবরদখলকৃত অতিরিক্ত সম্পত্তি তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলা হলে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে সময় ক্ষেপন করে আসছেন।
এবিষয়ে প্রতিপক্ষের ব্রজেন্দ্রনাথ মন্ডলের ছেলে প্রবীণ চন্দ্রের কাছে জানতে চাইলে তিনি তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা কারো জমি দখল করিনি। বরং যে পরিমান জমি বিক্রি করার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন সে পরিমান জমি পাননি তারা। এরপরেও যদি আমাদের ভিতরে তারা জমি পেয়ে থাকে তাহলে আমরা দিতে রাজি আছি। বিষয়টি নিয়ে সমাধানের চেষ্টা চলছে।
এব্যাপারে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় বৈদ্যপুর গ্রামের মৃত ধীরেন্দ্রনাথ চন্দ্রের ছেলে ভূক্তভোগী পলাশ চন্দ্র একই গ্রামের প্রতিপক্ষ মৃত রাজেস্বর মন্ডলের ছেলে ব্রজেন্দ্রনাথ মন্ডল, নাতী প্রবীন চন্দ্র ও নাতনী বাবলী রানীর বিরুদ্ধে জমি জবর দখল ও বিবাদমান জমিতে রোপিত বেশকিছু মেহগনি গাছ তুলে ফেলার একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :