`উৎস হতে উৎসবে পিঠা পুলির বন্দনে` প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নরসিংদীর পলাশে শত রকমের বাহারি পিঠা নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে পিঠা উৎসব। বর্ণাঢ্য আয়োজনে গ্রাম-বাঙলার হারিয়ে যাওয়া নানা রকমের পিঠা স্থান পেয়েছে দিনব্যাপী ওই পিঠা উৎসবে৷ দুধ চিতই, দুধ পুলি, কমলা পুলি, ইলিশ পিঠা, বউ পিঠা ও পানতুয়াসহ নানাবিধ বিলুপ্তপ্রায় পিঠার সমাহার ছিল এখানে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলায় বাহারি রকমের পিঠা উৎসবের এমন আয়োজন করে পলাশ রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ ক্লাব কমিউটি।
নতুনদের হাতের ছোঁয়ায় এক একটি পিঠা ধারণ করেছে নতুন রুপ৷ বিলুপ্তপ্রায় পিঠাকে নতুন রুপে হাজির করতে পেরে খুশি স্টলে থাকা শিক্ষার্থীরাও। পৌষের শীতকে উপেক্ষা করে পিঠা উৎসবের আনন্দে মাতে কয়েক হাজার মানুষ। বিলুপ্ত প্রায় নানাবিধ পিঠার সমাহার দেখে উৎফুল্ল সকল বয়সের দর্শনার্থীরাও৷
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পিঠা উৎসব পরিদর্শন করেন নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফারজানা আলম।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, পলাশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসফিকা হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মিলন কৃষ্ণ হালদার, পলাশ বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল প্রমুখ। পিঠা উৎসব পরিদর্শনকালে অতিথিরা করেছেন বাঙালীর ঐতিহ্যের ব্যাখ্যাও।
পলাশ রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ মো: আরিফ পাঠান বলেন, বাঙালীর ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে তরুণ প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাঙালীর পিছনের পিঠাপুলির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সৌন্দর্যকে ধারণ করে তরুণ প্রজন্ম সামনের দিকে এগিয়ে যাবে এমনটি আশা করি। পিঠা উৎসবে মোট ১১ টি স্টল অংশ নেয়। উৎসব চলে সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :