বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলা দেশের দক্ষিণাঞ্চলের নদীতীরবর্তী একটি উপকূলীয় এলাকা। গতকাল থেকে পানগুছি নদীর দুপাশ ঘেঁষা এই উপজেলায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে, যা বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষের জন্য চরম বিপত্তি সৃষ্টি করেছে।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ১১টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশা এবং তীব্র শীতে দিনমজুর, ছিন্নমূল মানুষ ও পথচারীরা চলাচলে ভীষণ অসুবিধার মুখে পড়েছেন।
ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগ, যেমন শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, ডায়রিয়া, আমাশয় এবং নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন শিশু ও বৃদ্ধরা।
শীতের মৌসুম অনেক আগেই শুরু হলেও তেমন তীব্রতা ছিল না। জনশ্রুতি অনুযায়ী, বছরের সবচেয়ে শীতল মাস পৌষ। তবে মাসের শুরুর দিকে শীতের তীব্রতা না থাকলেও দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে পৌষের হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। শীত নিবারণের জন্য খেটে খাওয়া মানুষজন খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণ থাকার চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে, শীতে গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে খামারিদের।
দিনমজুর বাবুল ইসলাম বলেন, "প্রতিদিন সকালে একটি পাতলা চাদর গায়ে জড়িয়ে কাজে বের হতে হয়। ভালো পোশাক পরার সামর্থ্য নেই, কারণ অভাবের সংসারে সেই সুযোগ কই! পরিবারের মুখে একমুঠো ভাত তুলে দিতে সারাদিন কাজ করি, আর পাই মাত্র ৫০০ টাকা মজুরি। ভালো পোশাক কিনতে টাকা পাব কোথায়? আমাদের জন্য শীত কিংবা কুয়াশা কিছুই নয়—কাজ করলে ভাত মিলবে, না করলে উপোস থাকতে হবে।"
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল জাবির বলেন, "এ বছর শীতবস্ত্র কেনার জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেই বরাদ্দের অর্থে কেনা শীতবস্ত্র মোরেলগঞ্জের অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে বিতরণ করছে উপজেলা প্রশাসন।"
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :