বেড়েছে শীতের তীব্রতা, সেই সাথে ঠান্ডা হাওয়ায় জবুথবু হয়ে পড়েছে জেলার জনজীবন। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ, খেটে খাওয়া মানুষ ও কৃষকরা সমস্যায় পড়ছে সবচেয়ে বেশি।
সড়কে যানবাহন চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। বেলা বাড়লেও দেখা নেই সূর্যের।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকালে জেলার বিভিন্ন এলাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ, বৃদ্ধ, শিশু আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে , শীতের দাপটে গ্রামাঞ্চলের অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে অনেকেই শীত নিবারণের চেষ্টাও করছেন। তীব্র শীত উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে কাজের সন্ধানে বের হয়েছেন খেটে খাওয়া মানুষগুলো। তাপমাত্রা কমার চেয়েও বেশি অসুবিধা হচ্ছে শীতল বাতাস। বাতাসে তা গায়ে কাঁটার মতো বিঁধতে থাকে। ঘরে ঘরে লেপ-কাঁথা নামানো হয়েছে অনেক অনেক আগে। তবে গত কয়েকদিন থেকেই শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার নিদারুণ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন জেলার নিম্নআয়ের মানুষজন। খড়-কুঠো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে নিম্নআয়ের মানুষ। সন্ধ্যার পর শহর খালি হয়ে যাচ্ছে বাজার । প্রচণ্ড শীত থেকে বাঁচতে সন্ধ্যার পর ঘরে থাকছে গ্রাম এবং শহরের মানুষ। যার প্রভাব পড়েছে ব্যবসা-বাণিজেও।
মনিরুল ইসলাম নামে এক দিন মজুরী বলেন, কয়েকদিন থেকে আজ ঠান্ডা অনেক বেশি। কনকনে ঠান্ডায় হাত-পা কাঁপছে। পেটের জন্য কষ্ট হলেও সকাল সকাল কাজের সন্ধানে বের হয়েছি।
ব্যাটারিচালিত অটো ভ্যান চালক মো.শাহাদত বলেন, ঠান্ডা বাতাসের কারণে চলাফেরায় কষ্ট হচ্ছে। ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত থাকছে বাতাস। বেশি কষ্ট হচ্ছে সন্ধ্যার পর ভ্যান চলাতে। দুইটা প্যান্ট, সোয়েটারে ওপরে জ্যাকেট জড়িয়েও কমছে না শীত। বাতাসের কারণে শরীরে কাপুনি ধরে যাচ্ছে।
এদিকে, শীতের তীব্রতা বাড়ায় বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা সেই সাথে গরম পোশাকের দোকানগুলোতে বেড়েছে ভিড়। বিক্রেতারা জানান, কয়েকদিন থেকে তুলনামূলক বিক্রি বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে জ্যাকেটগুলো। তারপরে বিক্রি হচ্ছে উলের সোয়েটারগুলো।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :