বরিশালের বানারীপাড়ায় চাখারের চাউলাকাঠি ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এমএম এ জলিলকে জোরপূর্বক পদত্যাগ করাতে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হাইয়ান অবসরে যাওয়ার পরে প্রথমে উপাধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হালিম ও পরে সহকারি অধ্যাপক মাওলানা একে এম ফজলুর রহমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালণ করেন।
একেএম ফজলুর রহমান অবসরে যাওয়ায় গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও চাউলাকাঠি ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার গভর্নিংবডির (এডহক কমিটি) সভাপতি মো. ওবায়দুল্লাহ্ মাদরাসার জ্যেষ্ঠ সহকারি অধ্যাপক (বাংলা) এমএম এ জলিলকে বিধি মোতাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব অর্পণ করেন। বুধবার (১ জানুয়ারী) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে এমএমএ জলিল মাদরাসায় দায়িত্ব পালণরত অবস্থায় বেলা ১১টার দিকে সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ একেএম ফজলুর রহমানের উপস্থিতিতে সহকারি অধ্যাপক মো. ইয়াসিনের নেতৃত্বে কতিপয় শিক্ষক ও বহিরাগত কিছুলোক তার কক্ষে প্রবেশ করেন।
এসময় তারা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এমএমএ জলিলকে পদত্যাগ করার জন্য অকথ্য ভাষায় গালাগাল,ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ফলে তিনি ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে অব্যহতিপত্রে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য হন। তারা চলে যাওয়ার পরে তিনি তাৎক্ষনিক বিষয়টি মাদরাসার সভাপতি ও বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. ওবায়দুল্লাহ্ এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার খন্দকার আমিনুল ইসলামকে মুঠোফোনে অবহিত করেন।
পরে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারী) বিষয়টি লিখিত আকারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও মাদরাসার সভাপতিকে অবহিত করা হয়। মুঠোফোন রিসিভ না করায় এ বিষয়ে মাদরাসার সহকারি অধ্যাপক মো. ইয়াসিনের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ ব্যপারে মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এমএমএ জলিল বলেন, প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তার কাছ থেকে জোরপূর্বক অব্যাহতিপত্রে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে তিনি নিরাপত্তাহীনতার মাঝে দিনাতিপাত করছেন।
এ প্রসঙ্গে বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও চাউলাকাঠি ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার গভর্নিংবডির সভাপতি মো.ওবায়দুল্লাহ্ বলেন, তদন্তপূর্বক বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একুশে সংবাদ/আ.য
আপনার মতামত লিখুন :