অবৈধ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, অদক্ষ চালক, অবৈধ পার্কিং, মহাসড়কের পাশে অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে উঠা ব্রিজস্কেল, মহাসড়কের উপর ট্রাক লোড আনলোড, কয়লা ও বালুর ড্যাম্পের জন্য সংকীর্ণ হয়ে পড়া যশোর খুলনা মহাসড়কের রাজঘাট শেষ সীমানা থেকে বসুন্দিয়া পর্যন্ত এখন মরনফাদে পরিণত হয়েছে । সড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় নানা দূর্ঘটনা, বেড়ে চলেছে সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা, সাথে যোগ হয়েছে নিয়মিত যানজট।
সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কের নওয়াপাড়া ফেরিঘাট থেকে বসুন্দিয়া পর্যন্ত প্রায় পুরো সড়কই বিভিন্ন খানাখন্দকে ভর্তি, বেঙ্গল রেলক্রসি, ভাংগাগেট, বসুন্দিয়া রেলক্রসিং এলাকা অচল প্রায়। মাঝে মাঝে দেখা যায় নিন্ম মানের কিছু ইঁট দিয়ে সড়কটি কোন রকমে চলাচলের উপযোগী করে রাখার চেষ্টা করতে। সারা সড়ক জুড়ে আছে উঁচু নিচু ঢিবি। নওয়াপাড়া বাজার থেকে বসুন্দিয়া পর্যন্ত লোড করা অথবা খালি ট্রাক গুলো মহাসড়ক জুড়ে এমন ভাবে দাড়িয়ে আছে দেখলে মনে হবে এটা কোন মহাসড়ক না, যেন ট্রাক পার্কিং এলাকা।
মহাসড়ক জুড়ে অদক্ষ চালকের হাতে বেপরোয়া গতিতে চলছে নসিমন, করিমন, ইজিবাইক, মটর চালিত ভ্যান, মাহেন্দ্রর মত অবৈধ যানবাহন। মহাসড়ক জুড়ে এদেরই রাজত্ব। এ ছাড়াও অদক্ষ চালকের হাতে বেপরোয়া গতিতে চলছে বালি ও কয়লা বহনকারী কয়েক`শ ডাম্প ট্রাক। খোলা ট্রাকে বহনকরা বালি ও কয়লা সড়ক জুড়ে উড়তে থাকে, যা সড়কে চলাচলকারী মানুষের চোখে মুখে প্রবেশ করাসহ হোটেল-রেস্তোরা ও বাড়িতে প্রবেশ করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করছে। এদের চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও সাধারণনের অসুবিধা দেখার জন্য যেন কেউ নেই। বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, নিয়মিত মাসিক চুক্তিতে টোকেনের মাধ্যমে চলছে এ সব অবৈধ যানবাহন। পত্রিকায় লেখালেখি হওয়ার কারণে পাল্টেছে টোকেন বা স্টিকারের ধরণ।
নওয়াপাড়া বাণিজ্য কেন্দ্র হওয়াতে মহাসড়কের পাশেই গড়ে উঠেছে অনেকগুলি ব্রিজস্কেল। এই সকল ব্রিজ স্কেল ব্যবহারের জন্য তাদের কোন নিজস্ব পার্কিং এর জায়গা না থাকায় মহাসড়কের উপর থাকে ট্রাকের দীর্ঘ সারি, এ জন্য নিয়মিত লেগে থাকে ভয়াবহ যানজট।
পুরো উপজেলার সবচেয়ে ব্যাস্ততম এলাকা নওয়াপাড়া বাজারের নুরবাগ মোড়ে গড়ে উঠেছে মাহেন্দ্র, ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত ইজিভ্যানের স্ট্যান্ড । সাথে সড়কের উপর অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন দোকান। ফলে, এই এলাকায় সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে মহাসড়ক, এ জন্য প্রতিদিন লেগে থাকে যানজট।
সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী ট্রাক চালক সুরত আলী বলেন, চেংগুটিয়া উপহার পাম্পের আশেপাশের বালির ড্যাম্পের বালি উড়ার জন্য রাস্তা বোঝা যায় না, সাথে সাথে এখানে সেখানে বালি পড়ে রাস্তা অনেক সংকীর্ণ হয়ে গেছে। এই এলাকায় গাড়ি চালানোর সময় মাঝে মাঝে দিনের বেলায়ও হেডলাইটও জ্বালাতে হয়।
এ বিষয়ে নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, অভয়নগর মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও ব্রীজ স্কেল মালিকদের সাথে বৈঠক হয়েছে, তাদের সতর্ক করে মহাসড়কের উপর যানবাহন না রাখতে বলা হয়েছে, আইন না মানলে মামলা করা হবে। এছাড়া হাইওয়ে সড়কে চলাচলকারী নসিমন-করিমন চালকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :