নওগাঁর নিয়ামতপুরে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিএমডিএ সহকারী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও গভীর নলকূপে অপারেটর নিয়োগে বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নিয়ামতপুর উপজেলায় বিএমডিএর ৬০৩ টি গভীর নলকূপ রয়েছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে গণ অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দখলে থাকা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন সেচ পাম্পের ঘরে দু-চারটা করে তালা পড়ে। এরপর গত অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে অপারেটর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ। উপজেলায় গভীর নলকূপের অপারেটর পদে ১৩০০ টি আবেদন পত্র জমা পড়ে। গত ১৯ ডিসেম্বর, ২২ ডিসেম্বর ও ২৩ ডিসেম্বর গভীর নলকূপের অপারেটর নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
গত ৩১ ডিসেম্বর সোমবার অপারেটর নিয়োগের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকা প্রকাশের পর পরই সাধারণ কৃষকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। উপজেলা জুড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড় ,বইছে মুখরুচক নানা গুঞ্জন, জনমনেও দেখা দিয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া।
হাজিনগর ইউনিয়ন বিএনপির নেতা শাহিন সহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী বলেন, আওয়ামী মতাদর্শী সহকারী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে। বিএমডিএ’র পরিচালনা কমিটির কতিপয় সদস্যর যোগসাজশে সহকারী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ বিএনপির ভোটের মাঠ নষ্ট,কোন্দল সৃষ্টি ও তাদের নেতার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে কৌশলে আওয়ামী মতাদর্শীদের অপারেটর নিয়োগ করেছে।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সফিউল্লাহ সোনার বলেন, বিএমডিএ কর্মকর্তা ব্যক্তিগত মতামতের ভিত্তিতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। জয়া বাংলা ঐক্য পরিষদের সহ সভাপতি আরমান ইসলাম যেই সেচ পাম্পে অপারেটর নিয়োগ পেয়েছে। অথচ সেই সেচ পাম্প এলাকায় (মৌজায়) তার নিজস্ব কোন জমি নেই। এখানে আর্থিক লেনদেন করে প্রকৃত কৃষকদের বঞ্চিত করে অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএমডিএ নিয়ামতপুর জোনের সহকারী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিরপেক্ষ ও শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে অপারেটর নিয়োগ করা হয়েছে। নিয়োগ কমিটি নিয়োগ দিয়েছে এখানে তার কোনো হাত নাই।
একুশে সংবাদ////র.ন
আপনার মতামত লিখুন :