সারাদেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় ও মহল্লায় কিশোর গ্যাং এর উৎপাত দিন দিন বাড়েই চলেছে। কোন ভাবেই থামানো যাচ্ছে না তরুণ প্রজন্মের কিশোর গ্যাং সদস্যদের।বিভিন্ন অপরাধের জরিয়ে পরছে কিশোরেরা,যেমন মাদক সেবন,চাঁদাবাজি, চুরি, ছিনতাই,ও নারী কেলেঙ্কারিসহ সকল অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পরেছে। তরুণ প্রজন্মের কিশোরদের কাজে লাগিয়ে সুযোগ নিচ্ছে মাদক ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন অপরাধ চক্রের নেতারা। তার সাথে ফায়দা লুটতে সুযোগ সন্ধানী রাজনৈতিক ব্যক্তি বর্গ। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় ঘটছে কিশোর অপরাধ।
বর্তমান সময়ে যে কোন অপরাধ চক্রের প্রথম সারিতেই কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের দেখা যায়। অধিকাংশ কিশোর গ্যাং সদস্য মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। বর্তমান সময়ে কিশোর গ্যাং একটি আতংকের নাম যা ক্যান্সারের মত আমাদের সমাজে ছড়িয়ে পড়েছে। তাঁরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পরিচয় দিয়ে সকল অপকর্ম করে থাকে।দল বেঁধে রাতের আঁধারে মটর সাইকেল মহড়া দিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। তাঁরা রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে মুক্তিপন দাবি করে।
সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন,এই কিশোর অপরাধের মুলে হচ্ছে সামাজিক অবক্ষয়।এটি ১০/১৫ বছর আগে এই কিশোর গ্যাং এর অস্তিত্ব ছিল না। সমাজের বয়বৃদ্ধরা সমাজের নেতৃত্ব দিতেন, কিন্তু দিন দিন সুযোগ সন্ধানী রাজনৈতিক ব্যক্তি তাদের স্বার্থে তরুণ প্রজন্ম কে ব্যবহার করে সমাজের বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িয়ে ফেলেন। ফলে সমাজে তরুণ প্রজন্মের কিশোর অপরাধের প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিটি মহল্লায় ৫/৭জনের সদস্য মিলে একটি কিশোর গ্যাং তৈরি হয়। তাঁদের বিভিন্ন নামে পরিচিতি লাভ করে। শুরু হয় তাঁদের প্রভাব বিস্তার ও অস্তিত্বের লড়াই।
তবে প্রাথমিক ভাবে পারিবারিক শিক্ষা প্রয়োজন।তা ছাড়া প্রতিটি বাবা মায়ের উচিত তার সন্তান কোথায় যাচ্ছে,কি করছে, কাদের সাথে মিশছে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কিশোর অপরাধের ব্যপারে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। তাদের সাথে শৌআর্ধ আচরণ করতে হবে আচরণ করতে হবে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :