সুন্দরবনে দুই দিনের সফরে এসেছেন নেদারল্যান্ডস কিংডমের রাষ্ট্রদুত ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধিসহ তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। শুক্রবার ও শনিবার সফর শেষে দুপুরে সুন্দরবন সংলগ্ন মোংলার জয়মনি ঘোল এলাকায় বাঘ ও বন্যপ্রানী সংরক্ষনে ওয়াইল্ডটিম কনজারভেশন টাইগার হাইস মাঠে স্থানীয়দের সাথে এক আলোচনা সভায় মিলিত হন তারা। এসময় সুন্দরবন ও বনের বন্যপ্রানী সুরক্ষায় বিভিন্ন দিগ নিয়ো আলোচনা করেন তারা।
বৈদেশীক প্রতিনিধিরা হলেন, নেদারন্যান্ডস কিংডমের রাষ্ট্রদূৎ মিঃ আন্দ্রে কারেস্টেন্স, ডেপুটি হেড অব ডেলিগেশন, হেড অব পলিটিক্যাল, ইকোনমিক, বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি ডঃ বার্ড স্প্যানিয়ার ও বাংলাদেশে আয়ারল্যান্ডের প্রতিনিধি ও ওয়াইল্ডটিম কনজারভেশন বায়োলজি সেন্টারের মাসুদ জামিল খান।
এছাড়া মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া শারমিন, ওয়াইল্ডটিম কনজারভেশনের প্রধান নির্বাহী ও ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক প্রানীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম ও থানা অফিসার ইনচার্জ আনিসুর রহমানসহ আরো অনেকে এসময় উপস্থিত ছিলেন।
দুপুরে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সুন্দরবনের রয়েলবেঙ্গল টাইর (বাঘ) রক্ষায় বন্যপ্রানী সংরক্ষন টিম ও সুন্দরবন সংলগ্ন স্থানীয়দের সাথে বন্যপ্রানী রক্ষায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেণ। তারা বলেন, সুন্দরবনকে বাচাঁতে হলে তা রক্ষনা-বেক্ষন আপনাদেরই করতে হবে। তাই বনের মধ্যে যাতে প্লাষ্টিক পন্য ঢুকতে না পারে সেজন্য সর্বক্ষনিক নজর রাখার প্রয়োজন। আমরা সকলে মিলে যদি প্লাষ্টিক যদি প্লাস্টিক বর্জন করি তা হলে আমাদের বন হবে আমাদের জীবন বাচাঁর মাধ্যম। তা না হলে এই প্লাষ্টিক এক সময় সুন্দরবনকে ধ্বংস করবে। আর সুন্দরবন ধ্বংস হলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আমাদের উপর পরবে, ফলে উপকুলীয় এলাকার সকল প্রানীকুল ও যুব সমাজসহ মানুষ কর্মহীন হয়ে মানবতার জীবন যাপন করতে বাধ্য হবে। তাই সুন্দরবন, বনের বন্যপ্রানী ও জলবায়ু পরিবর্তনের হাত থেকে রক্ষার জন্য সকল ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন এই প্রদিনিধি দলের সদস্যরা। পরে লোকালয় বাঘ আসলে কিভাবে বাঘকে বনে ফিড়িয়ে দেয়া যায়, তা নিয়ে প্রদর্শনী দেখানো হয় বৈদেশী অতিথিদের।
এছাড়া বন্যপ্রানী সংরক্ষ টিমের সদস্য, স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী এবং স্থানীয়দের নিয়ে প্লাষ্টিক বর্জন ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন অভিযোন কার্যক্রম পরিচালনা করেণ বিদেশী এ অতিথিরা। শনিবার দুপুরের পর ঢাকার উদ্দোশ্যে তারা মোংলা ত্যাগ করেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :