মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে থানা থেকে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলামকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ কাইয়ুম উদ্দিন চৌধুরীকে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
শনিবার বিকেলে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকাবের নির্দেশে তাকে পুলিশ লাইনের সংযুক্ত করা হয়। মূলত শ্রীনগর থানার পুলিশের অফিসার ইনচার্জ কাইয়ুম উদ্দিন চৌধুরীকে দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার কারণে শ্রীনগর থানা থেকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
উল্লেখ্য যে, শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের নেতা মো. তারিকুল ইসলামকে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্রীনগর ধাইসার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ থানায় নিয়ে আসে। তারিকুল শ্রীনগর থানায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর দায়েরকৃত ১৭(১১) ২৪ নং মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামী। তার বাড়ি উপজেলার পশ্চিম দেউলভোগ গ্রামে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, যুবদলের সদস্য তারিকুলকে গ্রেপ্তারের খবর শুনে রাত ৯টার দিকে থানায় ছুটে যায় নেতাকর্মীরা। তারা তারিকুলকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাইয়ুম উদ্দিন চৌধুরীরর ওপর চাপ প্রয়োগ করেন। এর কিছুক্ষণ পর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা থানা প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন। প্রায় ২০০ নেতা-কর্মী থানা প্রাঙ্গণে জড়ো হন। সেখানে তাঁরা বিক্ষোভ করতে থাকেন। পুলিশের সঙ্গে তাঁরা বাগ্বিতণ্ডা শুরু করেন। একপর্যায়ে রাত ১০টার দিকে `জিয়ার সৈনিক এক হও, লড়াই করো`সহ বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে জোর করে থানার ভিতরে ঢুকে আসামীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য টানা হেচড়া ও ধাক্কাধাক্কি করতে থাকে। এতে পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের উপর আক্রমণ চালায় এবং তাদেরকে কিল ঘুষি মেরে ওসি ও সার্কেল এসপির সামনে থেকে আসামি তরিকুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যান তাঁরা।
এদিকে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় হত্যা চেষ্টা মামলায় শ্রীনগর থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাক বাদি হয়ে দুই শতাধিক বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলাশ এখনো পর্যন্ত তিনজন এজাহার ভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানা যায়।
একুশে সংবাদ////র.ন
আপনার মতামত লিখুন :