‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’র পক্ষে জনমত তৈরির লক্ষ্যে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। রবিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে উপজেলার বালিজুড়ী বাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর বালিজুড়ী বাজারের সবজির বাজার, মাছ বাজার, হাইস্কুল মোড়সহ বিভিন্ন গুরম্নত্বপূর্ণ স্থান ও প্রধান প্রধান সড়কে জনসাধারণের মাঝে এই লিফলেট বিতরণ করা হয়।
কর্মসূচিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক লুৎফর রহমান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা হিফজুর রহমান বকুল, জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহবায়ক শহিদুজ্জামান, সদস্য মুর্শেদ তুষার, সিয়াম, আরিফ, তাপসী, মাদারগঞ্জের প্রতিনিধি রুমন, রকি, পলাশ, রোহানী, শাকিল, নিরব, শিপনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ লিফলেট বিতরণে এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীসহ অন্যান্যরা অংশ নেন।
লিফলেট বিতরণ শেষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক লুৎফর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের জনগণ একটি নজিরবিহীন ফ্যাসিবাদী ও মাফিয়া শাসনের অধীনে চরম জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। রাজনৈতিক দলসহ সাধারণ জনগণ ও শিক্ষার্থীদের জীবনে নেমে এসেছিল বিপর্যয়। কর্মসংস্থান ছিল না, চাকরিতে ছিল দলীয়করণ, স্বজনপ্রীতিসহ নানা দুর্নীতি; ছিল না কথা বলার অধিকার। শহীদ মিনারে ঘোষিত এক দফার ভিত্তিতে গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার উৎখাত হয়।
তিনি আরও বলেন, এ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ২ হাজার শহীদ হয়েছেন এবং ২০ হাজারেরও অধিক মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের একটি স্বীকৃতি দরকার। আগামীর বাংলাদেশ যখন এ অভ্যুত্থানের কথা স্মরণ করবে, তখন তো তার একটি দালিলিক প্রমাণ লাগবে। আমরা চাই সরকার যাতে অনতিবিলম্বে দালিলিক একটি ঘোষণাপত্র দেয় এবং ছাত্র-জনতার যে আকাংখা সেটার বাস্তবায়ন ঘটাক।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :