নওগাঁ জেলার মান্দায় তদন্তে এসে তোপের মুখে ফিরে গেলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (অঃ দাঃ) মোহাঃ আব্দুর রাজ্জাক। উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদত্যাগের বিষয়টি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তদন্তে করতে আসেন তিনি। এসময় প্রতিষ্ঠানের মূল ফটকের সামনে গিয়ে ভেতরে প্রবেশ করার সময় বহিরাগতদের তোপের মুখে পড়ে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তদন্ত না করেই ফিরে যান তারা।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (অঃ দাঃ) মোহাঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গোবিন্দপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বাদেশ আলীকে জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো হয়েছে মর্মে অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক, নওগাঁ তাকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করেছেন। সে-প্রেক্ষিতে তিনি ১২ জানুয়ারি রবিবার বেলা ২ টার দিকে গোবিন্দপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে সরেজমিনে তদন্তকার্য পরিচালনা করবেন। সে মোতাবেক গত ৭ জানুয়ারি একটি লিখিত চিঠির মাধ্যমে উক্ত তারিখ, সময় ও স্থানে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-কর্মচারীগণকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
তদন্তের খবর শুনে প্রতিষ্ঠানের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে বিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যে চেয়ারে বসে অবস্থান করছিলেন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকরা। এসময় বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত প্রায় শতাধিক বখাটে যুবক বিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে তার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করাসহ তোপের মুখে ফেলে প্রতিষ্ঠানের ভিতর প্রবেশে বাঁধা প্রধান করেন। এমতাবস্থায় প্রতিষ্ঠানের মূল ফটকের সামনে গিয়ে ভেতরে প্রবেশ করার সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলীর বেশকিছু প্রভাবে লেলায়িত শিক্ষার্থী এবং বহিরাগতদের তোপের মুখে পড়ে তদন্ত না করেই ফিরে যান তিনি। বিষয়টি তিনি তার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। এরপর বিধি অনুয়ায়ী ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানার জন্য গোবিন্দপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়ে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়ায় তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :