গত ৫ই আগষ্ট সদরপুর থানা ভাংচুর করে আগুন দেয় স্থানীয় বিক্ষুদ্ধ জনতা। ওই সময় থানার অস্ত্রগার থেকে লুট হয় পুলিশের বিভিন্ন ধরনের ভারি অস্ত্র। থানা থেকে লুটে নেওয়া অস্ত্র দিয়ে গত ৬ আগষ্ট টিকটক করতে যায় পলাশ ও তার বন্ধুরা। পলাশের বন্ধুর হাতে থাকা গুলিভর্তি শর্টগান দিয়ে অভিনয় করতে গেলে গুলিবিদ্ধ হন পলাশ হোসেন (১৮)। পলাশ সদরপুর ইউনিয়নের আটরশি গ্রামের মোশারফ হোসেনের পুত্র। থানা পুলিশ পালিয়ে থাকায় শূন্য হয়ে পড়ে থানা। পরে ওই অস্ত্র (শর্টগান) উদ্ধার করে তৎকালিন ফরিদপুর জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট নাদীরা ইয়াসমিন।
সদরপুর থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিক্তিতে মঙ্গলবার ওই আসামীকে ধরতে বাইশরশি ভূমি সংলগ্ন ফায়ার সার্ভিসের সামনে অভিযান চালায় পুলিশের অভিযানিক দল। অভিযানের নেতৃত্ব দেন এস আই রাসেল মিয়া ও কাজী মিনারুল। আহসান হাবীব কে আটকের পথরুদ্ধ করলে পুলিশের হাত থেকে পালানোর চেষ্ঠা করে পুলিশের এসআই কাজী মিনারুল কে লাথি মেরে সড়কের উপর ফেলে দিয়ে আরেক এসআই রাসেল মিয়া কে নাকে ঘুসি মেরে জখম করে। পরে তাকে আটক করে পুলিশের আরেক এসআই আব্দুল হাদি।
এ ঘটনায় নিহত পলাশের মা পারুলী আক্তার বাদী হয়ে গত ৬ আগষ্ট ৫ জনের নাম উলেখ করে সদরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় এজাহারভুক্ত পলাতক আসামী আহসান হাবিব।
সদরপুর থানা সুত্র মতে, গত ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সদরপুর থানা লুট হয়। ৬আগষ্ট লুট হওয়া অস্ত্র দিয়ে টিকটক করতে গিয়ে নানা বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয় আটরশি গ্রামের মোশাররফ হোসেনের পুত্র পলাশ (১৮)। পলাশ মারাত্বক ভাবে আহত থাকায় তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৩দিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে আইসিইউতে পলাশের মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে সদরপুর থানার অফিসার ইমচার্জ মো. আ. মোতালেব জানান, আহসান হাবীব পলাশ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী। পুলিশ তাকে ধরতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েয়েছ। আইনী কার্যক্রম শেষে আজ মঙ্গলবার ফরিদপুর কোট আদালতের নিকট সোপর্দ করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :