ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ১৩নং চরবেতাগৈর ইউনিয়নের চরশ্রীরামপুর গ্রামের মো: রোস্তম আলী, বাবলু ফকির, তসলিম ফকির, রবিকুল ইসলাম ও আনিছ গংদের বিরুদ্ধে নিরীহ পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে।
মৃত জুমন আলীর পুত্র রেজাউল আহম্মেদ রিপন ও রোস্তম আলীর নিরীহ পরিবারকে মিথ্যা মামলায় হয়রানিসহ বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে বলে ভোক্তভোগী নিরীহ পরিবার এই প্রতিবেদককে জানান।
জানা গেছে, চরশ্রীরামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কদ্দুসের পুত্র রোস্তম আলী ও মৃত আবেদ আলীর পুত্র বাবলু ফকির ও তসলিম ফকির গং এর সাথে রিপনের পরিবারের দীর্ঘদিন যাবত পারিবারিক মনোমালিন্য রয়েছে। রিপন ও তাঁর ভাই রোস্তম আলী গত ১৫ মাস পূর্বে একই গ্রামের অব: প্রাপ্ত পুলিশ আবু সিদ্দিকের নিকট থেকে ১৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছেন। আর আবু সিদ্দিক প্রায় ৩০ বৎসর পূর্বে ওই জমি তাঁর ভাতিজা মৃত আব্দুল কদ্দুসের পুত্র রোস্তম আলীর নিকট থেকে ক্রয় করেছিলেন। কিন্তু রোস্তম আলী কাওলা না দিয়ে কালক্ষেপন করতে থাকলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও দরবারীগণের রায় অনুযায়ী গত ডিসেম্বর ২০২৪ইং সনে উক্ত জমি আবু সিদ্দিককে দলিল রেজিস্ট্রি করে দেয়। পাশাপাশি রোস্তম আলী একই জমির ৪ শতাংশ রবিকুল ইসলাম ও তসলিম ফকিরকে রেজিস্ট্রি করে দেওয়ায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে রেজাউল আহম্মেদ রিপন বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) স্থানীয় আনন্দ বাজারে তাঁর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রোস্তম আলী ও বাবলু ফকির গং গন্ডগোল সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই একই দাগে ২০ শতাংশ জমি থাকার কথা বলে ১৫ এর খাত ৪ শতাংশ অন্যদেরকে লিখে দেয়।
এ বিষয়ে আবু সিদ্দিক রিপন ও রিপনের ভাই রোস্তম আলীর নিকট ১৫ শতাংশ জমি বিক্রীর কথা স্বীকার করে বলেন, আমি আমার ভাতিজার নিকট থেকে ১৫ শতাংশ ক্রয় করেছি এবং তা রিপনের পরিবারের নিকট বিক্রী করে দিয়েছি তা এলাকাবাসী সবাই জানে। অহেতুক আমার ভাতিজা রোস্তম আলী গন্ডগোল সৃষ্টি করছেন। তাদের ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
অপরদিকে রোস্তম আলীর সাথে সেলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই জমিতে আমার মোট ২০শতাশ ভূমি রয়েছে। সেখান থেকে ১৫ বিক্রি করেছি, আর ৪ শতাংশ আমার প্রতিবেশীকে ব্রিক্রী করে দিয়েছি। এখানে কোন দোষের কিছুতো দেখছি না।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :