সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার দক্ষিণ বংশিকুন্ডা ইউনিয়নের রংচী গ্রামে জলমহাল নিয়ে বিরোধের জেরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। দির্ঘদিন ধরে দুপক্ষের মধ্যে জলমহাল দখল নিয়ে, বিরোধিতা চলছিল, এতে একটি পক্ষ হামলা লুটপাটের শিকার হয়েছে। এসময় ইকবাল গ্রুপ পক্ষের ৪ জন গুরুতরভাবে আহত হয়েছে।
জানা যায়, বৃহত্তর রামসার টাঙুয়ার হাওরের একাংশের সোনাডুবি জলমহাল দখলকে কেন্দ্র করে, দু`পক্ষের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এতে একই গ্রামের আজিম উদ্দিন গ্রুপের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্য, গত ১৫ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে পূর্ব পরিকল্পিত অনুযায়ী, রংচী গ্রামের ইকবাল গ্রুপের উপর ধারালো অস্ত্র সহ অতর্কিত হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর করেছে, এবং ৪ জনকে রক্তাক্ত জখম করেছে, এছাড়াও মাছ ও মালামালসহ প্রায় ৫ লাখ টাকার লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইয়াজারাদারদের উপর অতর্কিত হামলা ও লুটপাটের অভিযোগে মধ্যনগর থানায় মামলার প্রস্তুুতি চলছে। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে বারোটার দিকে রংচী গ্রামের সামনে সোনাডুবি জলমহালে এ ঘটনা ঘটে। আরও জানা যায়, সোনাডুবি জলমহালটি প্রতিবছরই তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসন কতৃক থেকে ইজারা দেওয়া হয়। এতে টাংগুয়ার অন্তর্ভুক্ত মৎস সমবায় সমিতিকে ফারমিটের মাধ্যমে ইজারা প্রদান করে থাকেন। এবছর তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসন থেকে ৯ জানুয়ারি এ বিলটির ইজারা পায়, টাংগুয়ার হাওর রংচী সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিঃ। ইজারা পাওয়ার পরে সমিতির সদস্যরা বিলে দখল বুঝে নিতে গেলে, একই গ্রামের প্রতিপক্ষ মোঃ আজিম উদ্দিন গ্রুপ নানানভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। এজন্যে সমিতি ও ইজারাদারদের পক্ষে, মোঃ ইকাবাল হোসেন বাদী হয়ে মধ্যনগর থানায় ১৬ জানুয়ারি বিকালে একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছিলেন। অভিযোগ দায়ের করার পর সমিতির মালিক পক্ষের কয়েকজন মিলে বিলে গিয়ে রাতে পাহারা দিচ্ছিলেন। এসময় রাত সাড়ে বারোটার দিকে, আজিম উদ্দিন তার দল-বল সঙ্গে নিয়ে দেশীয় দাড়ালো অস্ত্রসহ বিল পাহারারত অবস্থায়, ইকবাল ও তার লোকজনের উপর আক্রমণ ও হামলা চালায়। হামলায় রক্তাক্ত জখম করেছে, মালিক পক্ষের ইকবাল, রাসেল মিয়া, রহিছ মিয়া ও হোসাইন মিয়া সহ গুরুতর আহত হয়ে ঘটনা স্থলেই পরে থাকে। আহতদের একজন মোবাইল ফোনে কল করে জানায় যে, তারা হামলার শিকার হয়েছে। তৎক্ষনাৎ বাড়ির লোকজন ও গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে, এবং পাশ্ববর্তী কলমাকান্দা উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
এবিষয়ে মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সজিব রহমান জানান, ঘটনাটি শোনেই তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে আমাদের ফোর্স পাঠানো হয়েছে। এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :