লোকজ ঐতিহ্য এবং নারীসমাজের শিল্প নৈপুণ্যের স্মারক রূপেও পিঠা আমাদের দেশে সমাদৃত। গ্রামীণ ঐতিহ্য ও নতুন প্রজন্মের কাছে হরেক রকমের পিঠার পরিচয় তুলে ধরতে গাজীপুরের কালীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজে অনুষ্ঠিত হলো পিঠা পুলি উৎসব-২০২৫।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) কলেজ চত্ত¡রে দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত পিঠা পুলি উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নুর-ই-জান্নাত। এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ মূ. নাজমুল ইসলাম, অত্র কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান সুরুজ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহানাজ আক্তার, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার শারমিন আক্তার, কালীগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ ওমর ফারুক, কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী, আগত বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
এসময় প্রধান অতিথিসহ মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান। স্টলে সাজানো গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন রকমের বাহারী ও মুখরোচক পিঠা। উৎসবে শোভা পাচ্ছে পিয়াসা, পাটি সাপটা, আন্দসা, চিতই, ভাপা, পুলি, সরু, মালাই রোলসহ প্রায় শতাধিক প্রকারের পিঠা। ভোজন রসিকরাও এসে পিঠা খেয়ে নানা প্রশংসা করছেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে নতুন প্রজন্মের কাছে পিঠা পুলির পরিচিতির জন্য প্রতি বছরই এমন আয়োজন থাকবে।
একাদশ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সামিয়া সুলতানা জানান, মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্যই পিঠা উৎসব। এ উৎসবের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মরা যেমন হরেক রকম পিঠার সাথে পরিচিত হতে পারছে তেমনি স্বাদও নিতে পারছে।
হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক তনিমা দেওয়ান বলেন, গ্রামাঞ্চলে শীতকালে নানা ধরণের পিঠাপুলি তৈরী হয়ে থাকে। পিঠা উৎসবের আয়োজন এটি লোকজ ও নান্দনিক সংস্কৃতিরই বহিঃপ্রকাশ।
কলেজের অধ্যক্ষ মূ.নাজমুল ইসলাম জানান, হরেক রকম পিঠার সাথে পরিচয় হতে পেরে খুবই ভাল লাগছে। বাঙালির হাজার বছরের সংস্কৃতির সাথে মিশে আছে পিঠা পুলি। শীত কালে বাংলার ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা উৎসব। আজকের এই পিঠা উৎসবে বাহারি রকমের পিঠা দেখে ছোট বেলার অনেক স্মৃতিই মনে করিয়ে দেয়।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :