বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে ২০২৪ সালে লোক ও কারুশিল্পের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বিশিষ্ট ৩ জন কারুশিল্পীকে "লোক ও কারুশিল্পী পদক ২০২৪" সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ জেলার গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত হালুয়াঘাট এর বিশিষ্ট কারুশিল্পী মিলন চিসিম। তাঁকে ১ ভরি ওজনের একটি স্বর্ণপদক, এক লক্ষ টাকার চেক এবং সনদপত্র প্রদান করা হয়।
মিলন চিসিম, মাতা, প্রেমলতা চিসিম, স্বামী, আলবার্ট মানখিন, গ্রাম, আচকিপাড়া, উপজেলা, হালুয়াঘাট, জেলা : ময়মনসিংহ। জন্ম ৫ মার্চ ১৯৫৪ সাল। তিনি কোমড় তাঁতের একজন শিল্পী। জীবনব্যাপী কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তাঁকে ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর "লোক ও কারুশিল্পী পদক ২০২৪" প্রদান করা হয়।
সোনারগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী হাতি ঘোড়া মমী পুতুলের শিল্পী বীরেন্দ্র চন্দ্র সূত্রধর কে "লোক ও কারুশিল্পী পদক ২০২৪"প্রদান করা হয়। তাঁকে ১ ভরি ওজনের একটি স্বর্ণপদক, এক লক্ষ টাকার চেক এবং সনদপত্র ও সম্মাননা প্রদান করা হয়।
বীরেন্দ্র সূত্রধর, মাতা : রাজুবালা সূত্রধর, পিতা : মনিন্দ্র চন্দ্র সূত্রধর সোনারগাঁও পৌরসভার ভট্টপুর গ্রাম ডাকঘর ও থানা সোনারগাঁও, জেলা : নারায়ণগঞ্জ। জন্ম ২ জানুয়ারি ১৯৭০ সাল। বংশানুক্রমে তিনি প্রায় ৪৫ বছর সংশ্লিষ্ট শিল্প তৈরি ও বাজারজাত করে আসছেন। তাঁকে "লোক ও কারুশিল্পী পদক ২০২৪" প্রদান করা হয়। কারু শিল্প তিনি দীর্ঘদিন যাবত শ্রম ও মেধা দিয়ে কারু শিল্প নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে বীরেন্দর।
লোক ও কারুশিল্পে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ টেপা পুতুলের শিল্পী সুনীল পালকে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে "লোক ও কারুশিল্পী পদক ২০২৪" প্রদান করা হয়। তাঁকে ১ ভরি ওজনের একটি স্বর্ণ পদক, এক লক্ষ টাকার চেক এবং সনদপত্র প্রদান করা হয়। জনান সুনিল পাল, মাতা : কুসুম রানী পাল, পিতা : দীনেশ চন্দ্র পাল, গ্রাম : চরপাড়া, ডাকঘর : করিমগঞ্জ জেলা : কিশোরগঞ্জ।
তিনি ১২ জানুয়ারি ১৯৪৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বংশানুক্রমে তিনি প্রায় ৫০ বছর টেপা পুতুল তৈরি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।মেলার মূল প্রাণ কেন্দ্র নাট্য মঞ্চে সকলকে উপর তুলে দেওয়া হয়। মেলা হয় উদ্বোধন করা হয়েছে গত ১৮ জানুয়ারি ২০২৫।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :