AB Bank
ঢাকা বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

হাইমচরে খালে পানি না থাকায় দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন কৃষকরা


হাইমচরে খালে পানি না থাকায় দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন কৃষকরা

চাঁদপুর হাইমচর উপজেলার খালগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় হাজারো কৃষকের জীবন যুদ্ধে পরিণত হয়েছে। পানির অভাবে অধিকাংশ মাঠ ফেটে গেছে, চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন কৃষকরা।

কমলাপুর গ্রামের কৃষক, আব্দুল হান্নান খান বলেন, খালে পানি না থাকাতে আমরা ফসল করতে পারিনি। জলাবদ্ধতার কারণে আমাদের আমন ধান নষ্ট হয়ে গেছে এখন বোরো ধান রোপণ করবো কিন্তু পানি পাচ্ছিনা। এখন আমরা খুবই কষ্টে আছি সামনের দিনগুলোতে যে আমরা কি খাবো বা কিভাবে জীবন বাঁচাবো দিশেহারা হয়ে গিয়েছি। যদি আমাদেরকে দ্রুত পানি দেয় তাহলে আমরা বোরো ধান রোপণ করতে পারবো। আমাদের জীবন টুকু বাঁচাতে পারবো।

স্থানীয় আরোও বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, দীর্ঘদিন ধরে খালে পানি না থাকার কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এতে করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। সরকারিভাবে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তাদের এই দুর্দশা অব্যাহত থাকবে।
তারা আরো বলেন, এই খাল খননটি সঠিকভাবে হচ্ছে না খালের এক পাশ কাটা হচ্ছে অন্যপাশ কাটা হচ্ছে না, এদিকে, স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কৃষকরা দ্রুত পানির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন।

চাঁদপুর পওর শাখা-৩, হাইমচর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাসান গাজী বলেন, হাইমচর উপজেলায় আমরা দুটি খাল খনন করছি। খাল গুলো হচ্ছে ডব্লিউওয়াইসি এবং বিফিফাইভ। বিফি ফাইভ খালটি হচ্ছে কমলাপুর থেকে মহজমপুর ব্রিজ পর্যন্ত, ৩ কিলো ১৮৫ মিটার। এবং অন্য আরেকটি ডব্লিউওয়াইসি খাল সেটি টেককান্দি থেকে জনতা বাজার পর্যন্ত ২ কিলো ৫০মিটার খাল খনন করা হবে। এই দুটি খাল হচ্ছে হাইমচর উপজেলার প্রদান খাল। কাজ করতে গেলে কিছু প্রতিবন্ধকতা আসে, আমরা সেই প্রতিবন্ধকতা রেখে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি দু থেকে চার দিনের মধ্যে খালের খনন কাজ শেষ হবে বলে আশাকরছি।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্মকর্তা মোঃ শাকিল খন্দকার বলেন, বোরো মৌসুমে আমার কৃষক ভাইদের বোরো আবাদ করতে তাদের পানির প্রয়োজন হয়। আমাদের হাইমচরে যে দুটি খাল রয়েছে সে খাল গুলোতে দ্রুত পানি দেওয়ার জন্য আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে চিঠি দিয়েছি। তাদের খাল খননের কাজের কারনে আমাদের পানি বিগ্রহত হচ্ছে। সঠিক সময়ে যদি কৃষকরা পানি না পায় বোরো আবাদ বিগ্ণত হবে। দ্রুত সময়ে যেন কৃষকরা পানি পায় সেজন্য আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্বিতীয়বারও চিঠি প্রদান করেছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা বলেন, আমরা বেশ কয়েকদিন যাবত অভিযোগ পেয়ে আসছি বিফিফাইভ খালটি খননে অনিয়ম হচ্ছে। তাই আজকে আমি খাল খনন এর স্থানে পরিদর্শনে গিয়েছি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বলে দিয়েছি যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে খাল খনন শেষ করেন। এবং সঠিকভাবে খাল খননটি করেন। আমি আশাকরি এই খাল খননের মাধ্যমে কৃষকদের দুঃখ দুর্দশা দূর হবে এবং উপজেলার বিভিন্ন স্থানের জলাবদ্ধতা অনেকাংশেই কমে যাবে।

সোমবার দুপুরে বিফিফাইভ খাল পরিদর্শন শেষে ফরিদগঞ্জ উপজেলার রামপুর বাজার সংলগ্ন নজির চেয়ারম্যান পোলের সামনে ডাকাতিয়া নদী থেকে আশা খালের মুখে বাদ দেওয়া স্থানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপপ্রকৌশলী সহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদেরকে স্থানে যেতে দেখা গিয়েছে।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!