AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ফরিদপুর মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন প্রান্তি, খরচ নিয়ে চিন্তায় পরিবার


ফরিদপুর মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন প্রান্তি, খরচ নিয়ে চিন্তায় পরিবার

মেডিকেলে ভর্তি যেন পূর্ণিমার চাঁদ, যে স্বপ্ন দেখতে জানে তাকে দমিয়ে রাখতে কেউ নেই। গল্পটা এক মেধাবী শিক্ষার্থীর, জয় করেছেন দারিদ্রতা, সুযোগ পেয়েছেন ফরিদপুর  মেডিকেলে ভর্তির। ফরিদপুর জেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের হাট গোবিন্দপুর এলাকার বাসিন্দা অতি দরিদ্র কাঠ মিস্ত্রি রমেন বিশ্বাস ও চঞ্চলা বিশ্বাস দম্পতির মেয়ে প্রান্তি বিশ্বাস।প্রতিনিয়ত অভাবের সাথে তার প্রান্তির লড়াই।

শহরতলির কানাইপুরের বেগম রোকেয়া কিশলয় বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০২২ সালে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পাস করেন প্রান্তি। ২০২৪ সালে ফরিদপুর সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। চলতি শিক্ষাবর্ষে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তিনি। তবে কীভাবে মেডিকেলে ভর্তি হবেন ও সামনে কীভাবে চলবে লেখাপড়ার খরচ, এ নিয়ে কিছুই ভেবে পাচ্ছেন না তারা। 

প্রান্তির বাবা রমেন কুমার বিশ্বাস কাজ করেন কাঠমিস্ত্রি । মা চঞ্চলা বিশ্বাস বাড়িতে মুড়ি ভেজে শহরের বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করেন। মা-বাবার এই স্বল্প আয়ে চলে সংসার ও সন্তানদের লেখাপড়া। প্রান্তি দুই ভাই-বোনের মধ্যে ছোট। তার বড় ভাই রাহুল বিশ্বাস একটি বেসরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ডিপ্লোমা পাস করে এখনো বেকার জীবনযাপন করছেন।

এমন অবস্থায় প্রান্তি মেডিকেলে উত্তীর্ণ হয়ে পরিবারে এনে দিলেন খুশির জোয়ার। তবে তার এমন সাফল্যে যেখানে আনন্দ হওয়ার কথা, সেখানে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে। কারণ মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েও দুই চোখে অন্ধকার দেখছেন প্রান্তি ও তার পরিবার।

প্রান্তি বিশ্বাস বলেন, মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেতে ফরিদপুরের একটি কোচিং সেন্টারে কোচিং করেছি। সৃষ্টিকর্তা আমার দিনরাত শ্রমের ফলাফল দিয়েছেন। আমি সবার কাছে আশীর্বাদ চাই, আমার স্বপ্ন পূরণে যে বেশি সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন তিনি  কানাইপুরের বেগম রোকেয়া কিশলয় বালিকা উচ্চবিদ্যালের প্রধান শিক্ষক চঞ্চল দত্ত স্যার। স্যারের আর্থিক সহযোগিতায় আমি স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি। স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। 

প্রান্তির মা চঞ্চলা রানী বিশ্বাস বলেন, প্রান্তি খুব কষ্ট করে পড়ালেখা করেছে। ঠিকমত খাবার দিতে পারিনি কোনদিন খাবার খেয়ে আবার কোনদিন না খেয়ে স্কুল-কলেজে গিয়েছে। তবে প্রান্তি দত্তের পড়ালেখার বিষয়ে সব সময় খোঁজখবর রাখা এবং অর্থ  দিয়ে উত্তর দিয়ে সহযোগিতা করেছেন কানাইপুরের বেগম রোকেয়া কিশলয় বালিকা উচ্চবিদ্যালের প্রধান শিক্ষক চঞ্চল দত্ত স্যার।স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞ। 

স্যার যদি টাকা না দিতেন তাহলে হয়তো মেডিকেলে পড়ানো সম্ভব হতো না।তবে এখন নতুন চিন্তা মেয়ের ভর্তিসহ পড়ালেখার খরচ জোগানোর। কীভাবে কী করব কিছুই বুঝতে পারছি না।

ফরিদপুর সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মনজুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী প্রান্তি বিশ্বাস দারিদ্র্যকে জয় করেই এই পর্যন্ত এসেছে। আর্থিক সংকটসহ কোনো সংকটই যে দমাতে পারে না, তার একটি দৃষ্টান্ত প্রান্তি। সমাজের বিত্তবানদের কাছে আমি আহ্বান জানাব, প্রান্তিদের মতো ফুল যেন অর্থের অভাবে ঝরে না পড়ে।

 

একুশে সংবাদ/ এস কে 

Link copied!