AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ফরিদগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের রুমের তালা ভেঙ্গে কাগজপত্রে আগুন দিলো দুর্বৃত্তরা


ফরিদগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের রুমের তালা ভেঙ্গে কাগজপত্রে আগুন দিলো দুর্বৃত্তরা

চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার আবিদুর রেজা পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারি সুমন পালের সামনেই দুর্বৃত্তরা প্রধান শিক্ষকের তালাবদ্ধ রুম ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। কিন্তু সুমন পাল তাদের কোন ধরনের বাঁধা না দিয়ে ভবন ত্যাগ করেন। দুর্বৃত্তরা প্রধান শিক্ষকের রুম থেকে কাগজপত্র ও ক্রেস্ট নিয়ে বিদ্যালয়ের পাশেই আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এ ঘটনায় শিক্ষক কর্মচারিরা তাদের বাঁধা না দিলেও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি রহস্যজনক।

বৃহষ্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে ফরিদগঞ্জ আবিদুর রেজা পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, গত ৫ আগস্টের পরবর্তি সময়ে বিদ্যালয়ের সদ্য বিদায়ী প্রধান শিক্ষক রফিকুল আমিন কাজলকে ফ্যাসিস্টের দোসর আখ্যায়িত দিয়ে তার কক্ষে তালা মেরে দেয় বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীরা। সেই থেকে অদ্যবদি ওই কক্ষটি তালাবদ্ধ ছিলো।

বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারি রুহুল আমিন জানান, আজকে জোহরের নামাজের আগে হঠাৎ করেই তিনজন যুবক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের তালাবদ্ধ কক্ষের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। আমি তা দেখে অফিস সহকারি সুমন পালকে ডেকে ঘটাস্থলে নিয়ে দেখাই। তিনি দেখে ভবন ত্যাগ করেন। আমি ভয়ে কিছু বলতে পারিনি। এসময় তারা কিছু কাগজপত্র, ক্রেস্ট ও বই বস্তায় করে নিয়ে যায়। এরপর তারা বিদ্যালয়ের পুর্ব পাশের ভবনের পিছণে নদীর পাড়ে আগুণ ধরিয়ে দিয়ে চলে যায়। কারা এই কাজ করেছে জানতে চাইলে বলেন, আমি তাদের দেখলে চিনবো, তাদের নাম জানিনা।

বিদ্যালয়ের অফিস সহকারি সুমন পালকে র্দুবৃত্তদের বাঁধা না দেওয়ার কারন জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তোর দেননি। তাদের বাঁধা না দিয়ে কি তাহলে আপনি সহযোগিতা করেছেন? এ প্রশ্নেরও কোন উত্তর দেননি।

বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক জানান, তারা ক্লাস রুমে ছিলেন ঘটনার সময়। পরে এসব ঘটনা শুনেন। এদিকে এতবড় একটি ঘটনা ঘটলেও কেউই ওই দুর্বৃত্তদের আটক করতে চেষ্টা করেনি, যা রহস্যজনক।

দুর্বৃত্তরা যখন প্রধান শিক্ষকের রুমের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করেন তখন, তারুন্য উৎসবের ফুটবল টুনামেন্টর উল্লাস পর্বের খেলার প্রস্তুতি চলছিল। অফিস কক্ষ থেকে কোন ধরনের চিৎকার চেচামেচির কোন শব্দ পাননি মাঠে অবস্থানরতরা।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তার জানান, ঘটনার সময় দক্ষিণ পাশের ভবনে কাজ করছিলেন। অফিস সহকারি এসে আমাকে জানায়। তাৎক্ষনিক দোড়েঁ গিয়ে প্রধান শিক্ষকের রুমে প্রবেশ করে প্রতিটি আলমিরা খোলা এবং জিনিসপত্র এলোমেলো দেখতে পাই। এসময় ইউএনওর সাথে কথা বলে এই বিষয়ে থানায় জিডি করেছি। আমার ধারনা এই ঘটনাটি পরিকল্পিত।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে থানায় জিডি করতে বলেছি এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় তদন্ত করে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

একুশে সংবাদ/ এস কে 

Link copied!