হাওর ও চা-বাগান অধ্যুষিত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে কনকনে শীতে স্থবির জনজীবন। তাপমাত্রা নেমেছে ৯ ডিগ্রিতে। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস। গতকাল শনিবার উপজেলায় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।
শ্রীমঙ্গলে গত তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলেনি। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে প্রকৃতি। একই সঙ্গে বাতাস ও কনকনে শীতের কারণে বিপাকে পড়েন শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষেরা। চা-বাগানগুলোয় শীত বেশি পড়ায় কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে চা শ্রমিকদের।
শ্রীমঙ্গল ও সদর উপজেলার একাংশব্যাপী হাইল হাওরসহ ছোট-বড় অনেক হাওর। এসব হাওরের বিস্তীর্ণ জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়। ভোর হলেই কাজে বের হতে হয় চাষি ও চা শ্রমিকদের। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে গত তিন দিন ধরে শ্রমজীবী মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। এতে বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের পরিবার-পরিজন।
শ্রীমঙ্গল ৩ নং সদর ইউনিয়নেে নোয়াগাঁও গ্রামের কৃষক রঈস মিয়া জানান, নিচু জমিতে বোরো রোপণের মৌসুম শেষ হয়ে যাচ্ছে। তীব্র কুয়াশার জন্য ৫০০ টাকার রোজের কামলা (শ্রমিক) ৬০০ টাকায়ও কাজে আসছে না। এতে কৃষি খাতে চরম ক্ষতি হচ্ছে।
ট্রাকচালক শাহজাহান মিয়া বলেন, দুর্ঘটনা এড়াতে দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চালাতে হচ্ছে। রাতে ফগলাইট জ্বালিয়েও স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চালানো কষ্টকর।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের পর্যক্ষেক মুজিবুর রহমান জানান, আজ শনিবার সকাল ৬টায় শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ////র.ন
আপনার মতামত লিখুন :