AB Bank
ঢাকা সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ইন্টারন্যাশনাল ক্লিন এনার্জি দিবস উপলক্ষে উপজেলা সনাক-টিআইবি‍‍`র মানববন্ধন


ইন্টারন্যাশনাল ক্লিন এনার্জি দিবস উপলক্ষে উপজেলা সনাক-টিআইবি‍‍`র মানববন্ধন

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ‍‍`জীবাশ্ম জ্বালানিকে না বলুন’ প্রতিপাদ্য ধারন করে ইন্টারন্যাশনাল ক্লিন এনার্জি দিবস উপলক্ষে ক্লিন এনার্জি ব্যবহারে টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ার দাবিতে রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে মৌলভীবাজার সড়কে মানববন্ধন করেছে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) শ্রীমঙ্গল।

মানববন্ধনে সনাক সভাপতি দ্বীপেন্দ্র চন্দ্র ভট্টাচার্য্য বলেন, ক্লিন এনার্জি তথা নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য সচেতনতা বাড়াতে আন্তর্জাতিক নবায়নযোগ্য জ্বালানি সংস্থা (আইআরইএনএ)-এর প্রতিষ্ঠার তারিখের সাথে সঙ্গতি রেখে ২০২৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক ২৬ জানুয়ারি ইন্টারন্যাশনাল ডে অব ক্লিন এনার্জি হিসেবে ঘোষিত হয়েছে এবং ২০২৪ সালে দিবসটি প্রথমবারের মতো পালিত হয়েছে। এ দিবসটি টেকসই এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি রূপান্তর সংক্রান্ত প্রচারাভিযানে বিশ্ববাসীকে একত্রিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে কাজ করে।

মানববন্ধনে অন্যান্য বক্তারা নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে নীতি-স্পষ্টতা, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও তা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা এবং বিবিধ চ্যালেঞ্জসহ বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির রূপান্তর সম্পর্কে সচেতনতা ও চাহিদা বৃদ্ধির দাবি জানান। তারা আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি রূপান্তরের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ হলেও দেশ এখনও জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরশীল। বর্তমানে দেশের জ্বালানি মিশ্রনে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অংশ মাত্র ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ। বাকী ৯৫ ভাগ জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানির উপর নিভরশীল। এই আমদানি নির্ভরতা কমাতে সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জলশক্তি এবং ভূতাপীয় শক্তি হতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির পরিধি বাড়াতে হবে। মানুষকে সচেতন করতে হবে। জ্বালানি খাতকে দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে। 

মানববন্ধনে আন্তর্জাতিক ক্লিন এনার্জি দিবস ২০২৫-এ টিআইবির দাবি সম্বলিত ধারণাপত্র পাঠ করেন ইয়েস সদস্য বৃষ্টি দেব। 

অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সনাক সহ-সভাপতি ও সদস্যবৃন্ধ, ইয়েস ও এসিজি সদস্যবৃন্দ এবং সাধারণ জনগনসহ প্রায় শতাধিক মানুষ। 

টিআইবি’র দাবিসমূহ:

১। জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভর বিদ্যমান জ্বালানি মহাপরিকল্পনা ‘ইন্টিগ্রেটেড এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার মাস্টার প্ল্যান (আইইপিএমপি-২০২৩)’ অনতিবিলম্বে বাতিল করতে হবে এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস এবং জ্বালানি মিশ্রণে নবানয়নযোগ্য জ্বালানির পরিমাণ বৃদ্ধি- এমন মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে নতুন একটি মহাপরিকল্পনা তৈরি ও কার্যকর করতে হবে। 

২। জ্বালানি খাতে নীতি করায়ত্ত বন্ধ এবং স্বার্থের দ্ব›দ্ব প্রতিরোধসহ এ খাত সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ-প্রক্রিয়ায় জবাবদিহি নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ

এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গঠন করতে হবে।

৩। পরিবেশ আইনের আওতায় বিধিবদ্ধ করে সকল প্রকার জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ত্রুটিমুক্ত পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিবীক্ষণ ও যাচাই নিশ্চিত করতে হবে এবং পরিবেশ ছাড়পত্র প্রদান এবং দূষণ ও পরিবেশ-বিষয়ক তদারকিতে স্বচ্ছ ও যথাযথ-

প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।

৪। নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর-সংক্রান্ত কার্যক্রমে নেতৃত্ব প্রদানের জন্য টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে

একটি স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা প্রদানসহ এর কারিগরি, জনবল এবং অবকাঠামোগত সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।

৫। জ্বালানি খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টিসহ বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি

কমিশন (বিইআরসি) এর আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। জ্বালানির দাম নির্ধারণসহ প্রতিষ্ঠানটির

ম্যান্ডেট অনুসারে স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা প্রদান করতে হবে।

৬। আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক এবং দেশীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পাদিত জ্বালানি খাতের সকল প্রকল্প প্রস্তাব এবং চুক্তির নথি প্রকাশ করতে হবে।

৭। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের প্রকল্প বাস্তবায়ন ও ক্রয় সম্পাদনে উন্মুক্ত-পদ্ধতি ব্যবহারসহ জাতীয় ক্রয় আইন ও নীতি পরিপূর্ণভাবে প্রতিপালন

করতে হবে। এ খাতের সকল জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্রয় সম্পাদনে ই-জিপি পদ্ধতির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

৮। পরিবেশ সংবেদনশীল এলাকায় নির্মীয়মাণ কয়লা ও এলএনজি ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো স্থগিত করে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ

কৌশলগত, সামাজিক ও পরিবেশগত সমীক্ষা সম্পাদন সাপেক্ষে অগ্রসর হতে হবে।

৯। এনডিসি’র অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে বাতিল হওয়া কয়লা ও এলএনজি বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমিতে সোলারসহ

নাবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।

১০। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও জনঅংশগ্রহণ নিশ্চিত করে প্রকল্পের পরিকল্পনা, চুক্তির শর্ত নির্ধারণ, অনুমোদন এবং বাস্তবায়ন করতে হবে।

১১। নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রযুক্তির গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য তহবিল বরাদ্দ এবং গবেষণা ও শিল্পখাতের মধ্যে সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে।

১২। নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর প্রক্রিয়ায় তরুণ সমাজের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে হবে।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!