বাউফলে ছাত্রদলের সভাপতির ওপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শাহরাজ হোসেন জয়কে হত্যার চেষ্টার উদ্দেশ্যে হামলা করার প্রতিবাদে ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে বাউফল উপজেলা বিএনপি‍‍`র কার্যালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ভূক্তভোগী শাহরাজ হোসেন জয়। 

ওই সময় তিনি বলেন, কালাইয়া ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ আবুল কালাম চৌকিদারের কাছ থেকে সারে সাত একর জমি ক্রয় করেন তিনি। সেই জমি চাষিদের নিয়ে হাল চাল করতে গেলে ইউনিয়ন বিএনপি‍‍`র সভাপতি জসিম উদ্দিন তুহিন ও দাসপাড়া ইউনিয়নের সভাপতি আলী আজম তাদের সস্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারী কুপিয়ে জখম করে মরে গেছি ভেবে ফেলে রেখে যায়। 

স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর সময় পুনরায় সেখানে হামলা করে। ওই সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মুজাহিদুল ইসলাম পুলিশ ও সাংবাদিকদের ফোন করেন এবং তাকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন। কিছু কুচক্রি মহল উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ককে নিয়ে ষড়যন্তে  লিপ্ত হয়। আমি এর তিব্র নিন্দা জানাই। 

তিনি আরো বলেন, আমার একটা হাত ও পা এখনও অকেজো, কোন কাজ করছেনা। পুলিশ প্রসাশনের উদাসীনতার কারনে আসামীরা এখনও দিনের বেলা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছে আমাকে হত্যার জন্য। আমি আসামীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক  শাস্তির দাবী করছি। 

আয়োজিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্তিত ছিলেন, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মো. মুজাহিদুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক মো. রফিকুল ইসলাম, কনকদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রুবেল মুন্সি টিপু, দাসপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রকিবুল ইসলাম, নওমালা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিব হাসান, ধুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মহিবুল সিকদার, নাজিরপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রনি খান, বগা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ফজলে রাবিসহ সকল ইউনিয়নের ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকগণ। 

একুশে সংবাদ/বিএইচ