পটুয়াখালীর বাউফলে ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মূনঈমুল ইসলাম মিরাজ (২৮) ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে মো. সুজন হাওলাদার (৩২) নামের একজন অটো চালককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত সুজনের পরিবার আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের আমিরাবাদ গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত সুজন হাওলাদার উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের দ্বীপাশা গ্রামের ১নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নবী আলী হাওলাদারের ছেলে।
অভিযুক্ত মূনঈমুল ইসলাম মিরাজ কনকদিয়া ইউনিয়নের নারায়ণপাশা গ্রামের মঞ্জু হাওলাদারের ছেলে। মূনঈমুলের চাচা জাহাঙ্গীর হাওলাদার কনকদিয়া ইউনিয়নের সাবেক বিএনপি দলীয় সাবেক চেয়ারম্যান।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজ বিকেলে বীরপাশা বাজারে নিহত সুজন তার অটোরিক্সায় বসা ছিলেন। এসময় হঠাৎ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মূনঈমুল ইসলাম মিরাজ, তার ছোট ভাই মোরসালিন ইসলামসহ ৮/১০ জন সুজনকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিরাজুল ইসলাম তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে এলাকাবাসি ধারণা রাজনৈতিক পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে।
নিহত সুজন হাওলাদারের বাবা নবী আলী হাওলাদার বলেন, জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যানের ভাতিজারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। তাদের সাথে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। আমার ছেলেকে মানুষজন সাহায্য করে একটি অটোরিকশা কিনে দিয়েছে। অটো চালিয়ে সংসার চালাতো সুজন। তারা কেন এই হত্যাকান্ড ঘটালো তাও আমরা জানিনা।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মিরাজুল ইসলাম বলেন, তার শরীরের ডান পায়ে তিনটি স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত এবং পিঠের বাম পাশে একটি ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে৷ আমাদের প্রাথমিক ধারণা অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। এবং হাসপাতালে আনার প্রায় ২৫ মিনিট পূর্বেই তার মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্ত উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মূনঈমুল ইসলাম মিরাজের মুঠোফোন নাম্বার বন্ধ থাকায় তার মন্তব্য জানা যায়নি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, প্রাথমিক ভাবে আমরা জানতে পেরেছি মিরাজ ও তার ভাইসহ দুই একজন অভিযুক্তের নাম জেনেছি। তবে কি কারণে এই ঘটনা ঘটেছে সে বিষয় এখনো কিছু জানতে পারিনি। আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :